মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাথরুমে যাওয়ার সময় পথেই জ্ঞান হারালেন অনশনরত জুনিয়র ডাক্তার তনয়া পাঁজা। অবস্থা সঙ্কটজনক বুঝে আরও এক আন্দোলনকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টানা নয়দিনের অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। সোমবার সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তনয়া কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের (Hospital) ইএনটি (নাক, কান, গলা সংক্রান্ত) বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক। তবে আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দবিতে এখনও অনড় অনশনকারী ডাক্তাররা।
শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে (RG Kar Case)
জানা গিয়েছে, তনয়াকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সিসিইউতে ভর্তি করে রাখা হয়েছে। তাঁর ব্লাড প্রেসার অনেক কমে গিয়েছে। শরীরের কিটোন বডির মাত্রা বেড়ে গিয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ঘন ঘন তাঁর মাথা ঘুরছিল। উঠতে বসতে কষ্ট হচ্ছিল, মাথা ঘুরিয়ে উঠছিল। এমনকি, শুয়ে থাকলেও মাথা ঘুরছিল তাঁর। সম্প্রতি তাঁর যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে তনয়ার রক্তচাপ কমে হয়েছে ৯৮/৭০। নাড়ির গতি ৭৮ এবং ক্যাপিলারি ব্লাড গ্লুকোজ় (সিবিজি) বা রক্তে শর্করার মাত্রা ৬৩। মূত্রে কিটোন বডি বেড়েছে, পরিমাণ ৩+। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সিবিজি ৬০-এর নীচে নেমে গেলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ডাক্তাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অভয়ার সুবিচারের দাবিতে এখনও এই অনশন মঞ্চে সাধারণ জনতার ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল।
আরও পড়ুনঃ এবার অনশন-কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি সরকারি হাসপাতালের অধ্যাপক-চিকিৎসকদেরও
একাধিক আরও ডাক্তার অসুস্থ!
গত পাঁচ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন (RG Kar Case) শুরু করেছিলেন তনয়া। পরবর্তীতে যোগদান করেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। এরপর গত বৃহস্পতিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অনশনের সময় যত বাড়তে বাড়তে থাকে, সেই সঙ্গে একে একে ডাক্তার অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্ত্য আচার্যরাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হন। তাঁদেরও অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আবার গত শনিবার উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজে অনশনে বসেছিলেন আলোক বর্মা। তাঁর সঙ্গে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার অনশনে ছিলেন, তাঁর নাম শৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours