মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামের জন্য করা রক্ত পরীক্ষায় ব্যবহৃত রিএজেন্ট থেকেও আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছে। হাসপাতালের পদাধিকারীদের সকলেই যে তাঁর এই অনিয়ম মেনে মুখ বুঝে ছিলেন এমন নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদও হয়েছে। বিচার চেয়ে বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন। আর সেটা জানাজানি হতেই সন্দীপের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমনই দাবি করেন বিভাগীয় প্রধান।
ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)
আরজি করে (RG Kar) দুর্নীতি রোধে গত ৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে। চিঠির নিশানায় ছিলেন এক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রাক্তন অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ২২ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট নষ্ট হয়েছিল আরজি করে। রিএজেন্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বাড়তি রিএজেন্টের বরাতে সরকারি অর্থের অপচয় হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে ৭৩ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট কেনা হয় আরজি করে। রিএজেন্ট ব্যবহারের যন্ত্র সারাইয়ে গেলে অন্য সংস্থাকে রিএজেন্টের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়। ছ'মাস পর পুরনো সংস্থার যন্ত্র ফিরলেও নতুন সংস্থা থেকেই রিএজেন্ট কেনা হতে থাকে। তারই জেরে নষ্ট হয় ২২ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আরও ৮ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট নষ্ট হয় আরজি করে। এখনও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগেই পড়ে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই লক্ষ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। প্রতি বছর ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার অতিরিক্ত রিএজেন্ট কিনছে আরজি কর। স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখে, সে কথাও জানিয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।
আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ
ল্যাব ইনচার্জ কী বললেন?
তৎকালীন ল্যাব ইনচার্জ (RG Kar) অভিজিৎ সাহা বলেন, "বিভাগের সঙ্গে রিএজেন্ট কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। কত টেস্ট হচ্ছে, তা হিসেব করে তিনমাসের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী অর্ডার দেওয়া হয়। কতটা লাগবে সেটা স্টোর ঠিক করে। যিনি অভিযোগ করছেন, সেই জয়ন্ত দে আসার পর নির্দিষ্ট কোম্পানির জিনিস ব্যবহার করতে দেননি, সেই কারণেই পড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক রিএজেন্ট।" কে ঠিক আর কে ভুল তা তদন্তে উঠে আসবে। তবে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) আমলে যে আরজি করে যে দুর্নীতি চলত তা এই সব ঘটনায় জ্বলন্ত প্রমাণ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours