মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণত রাতের খাবারের পর থেকে পরের দিন প্রাতঃরাশ বা মধ্যাহ্নভোজন শুরু করার মধ্যে পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নির্দিষ্ট সময়ের (14 Hours Fasting) ব্যবধান রাখতে হবে। সেই বযবধান ১৪ ঘণ্টা হলে সবচেয়ে ভাল। সম্প্রতি এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। লন্ডনের কিংস কলেজের গবেষকরা এই নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন ১০ ঘণ্টার মধ্যে মানুষ যদি নিজেদের খাদ্য গ্রহণ করে তা শরীরকে সতেজ রাখবে। গবেষণা বলছে কী খাওয়া উচিত আর কতটা খাওয়া উচিত তার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কখন খাওয়া উচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত বিরতি দিয়ে খাবার খান। কখনওই খাবার সময় পরিবর্তন করবেন না। ঘুম থেকে ওঠার পর ১০ ঘণ্টার মধ্যে যা খাওয়ার খেয়ে নিন তাহলে যা খেলেন তা হজমের জন্য পুরো সময় পাওয়া যাবে।
ঘুম ভাল হয়, মেজাজ ঠিক থাকে
শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে৷ ফ্রি র্যাডিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলির মধ্যে ভারসাম্যহীনতার কারণে আমাদের শরীর প্রভূত ক্ষতি হয়৷ সবসময় কেমন যেন একটা ক্লান্তির ঘোর লেগে থাকে শরীরে, এমনকি মনেও৷ আসলে, স্ট্রেস আপনার শরীরের কোষের ক্ষতি করে৷ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ে বলে জানা যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে। ঘুম ভাল হয়। মানুষের মেজাজ ঠিক থাকে।
আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে, মেদ ঝরে দ্রুত
১৪ ঘণ্টার উপবাস আমাদের শরীরের মেদ ঝরাতেও অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া, শরীরে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতেও নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাদ্যগ্রহণ জরুরি। এই নিয়ম মানলে মানসিক শক্তিও বাড়ে। মন স্থির হয়, মনোযোগ বাড়ে, স্মৃতি শক্তি বাড়ে ৷ গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই নিয়ম মানলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং মেরামত করে, নতুন স্নায়ু কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে, যা সময়ের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours