মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কেবলমাত্র আরথ্রাইটিসে (Osteoarthritis) আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি। এই গভীর আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে ওয়াশিংটনের ল্যানসেট-এর গবেষণা। এই বিশেষ উদ্বেগের কথা প্রকাশিত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছেন।
গবেষণায় কী বলা হয়েছে (Osteoarthritis)?
ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (IHME)-এর পক্ষ থেকে গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি, ২০২১ সালের বিশেষ সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতেই রোগের সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে আরথ্রাইটিসে (Osteoarthritis) আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বিস্ময়কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে এই রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৯ লক্ষ ৫০ হাজার। ১৯৯০ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩২ শতাংশ এবং রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় প্রায় ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার। গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সালে প্রায় ১০০ কোটি রোগী হবে আরথ্রাইটিসের। এই সংস্থার ল্যানসেট রিউম্যাটোলজি জার্নালের গবেষণাপত্রে বলা হয়, বর্তমানে ৩০ বছরের বয়স বেশি, এমন মানুষের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ২০০ টির বেশি দেশে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আইএইচএমই (IHME) গবেষকের বক্তব্য
ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (IHME) বিশিষ্ট গবেষক এবং লেখক জেইমি স্টেইনমেটজ খুব স্পষ্ট করে বলেন, বিশ্বে যেভাবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে, তাতে বেশির ভাগ দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর নতুন নতুন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাই সমস্যাগুলিকে নিয়ে আগাম চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের শরীরে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। গবেষণার সমীক্ষা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, শরীর ক্রমশ স্থূল এবং ভারী হলে হাড়ের জোড়া অংশে আরথ্রাইটিসের (Osteoarthritis) প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে শরীরের অক্ষমতার জন্য ১৬ শতাংশ এই রোগ কার্যকর ছিল। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে ২০২০ সালে এই রোগের শরীরকে অক্ষম করার মাত্রা ২০ শতাংশ বেশি কার্যকর হচ্ছে। অক্ষমতার গড় হার অনেকটাই বৃদ্ধি হওয়ায় গবেষক এবং চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আবার আরথ্রাইটিস রোগ নিয়ে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পপুলেশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জ্যাসেক কোপেক বলেন, এই রোগে লিঙ্গগত পার্থক্যের কারণগুলি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই রোগের প্রাদুর্ভাবে জেনেটিক্স, হরমোনজনিত কারণ এবং শারীরবৃত্তীয় পার্থক্যের একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours