Recruitment Scam: চার্জশিটে অভিষেকের নাম! দুর্নীতির টাকায় বিপুল সম্পত্তি কালীঘাটের কাকুর, দাবি ইডির

ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করতে মেয়ে, জামাইকেও ব্যবহার করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’
kalighater_kaku
kalighater_kaku

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর (Kalighater Kaku) বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চলেছে ইডি। সুজয়ের বিরুদ্ধে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে ১২৬ পাতার মূল চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে ইডি-র (ED) দাবি, এ পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর ১১ টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এই সব সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জায়গায় জমি। এই সমস্ত সম্পত্তিই কেনা হয়েছে কালীঘাটের কাকু, তাঁর স্ত্রী বাণী ভদ্র ও কাকুর নিয়ন্ত্রিত দুটি কোম্পানির নামে। নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম। 

অভিষেক ঘনিষ্ঠ কালীঘাটের কাকু

চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ২৬ নম্বর পাতায়, কালীঘাটের কাকুর বয়ানের একাংশ তুলে ধরেছে ইডি। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র জানিয়েছেন, তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একজন কর্মী ছিলেন। ইডির চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-তে জোর! কম্পিউটার-ল্যাপটপের আমদানিতে ‘নিষেধাজ্ঞা’ কেন্দ্রের

চার্জশিটে ইডি-র দাবি

ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) কাছ থেকে তোলা অবৈধ টাকা সাদা করতে নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি কিনেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ১২৬ পাতার চার্জশিটের ৮৩ নম্বর পাতায় বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের নির্দেশে প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে কলকাতার ভবানীপুরে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন দেবরূপ চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। এই দেবরূপ হলেন সুজয়কৃষ্ণের মেয়ে পারমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ফ্ল্যাটটি কিনতে জামাইকে দিবাকর খেমকা নামের এক ব্যক্তি এবং তাঁর অধীনস্থ সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, ‘ওয়েলথ উইজার্ড’ নামের একটি সংস্থার কাছ থেকে আরও ৪৫ লক্ষ টাকা ঋণের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles