মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বজুড়েই ব্যাপকহারী চাকরি খোয়াচ্ছেন (Recruitment) মানুষ। বিশেষ করে পশ্চিমের দেশগুলিতে বড় বড় সংস্থাগুলি থেকে মাঝে মাঝেই কর্মী ছাটাই- এর খবর সামনে আসছে। মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, গুগল, মেটা এবং টুইটারের মতো টেক জায়ান্টরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নতুন বছরের শুরুতেই প্রতিদিন ১৬০০ কর্মীর চাকরি যাচ্ছে। চাকরির বাজারে এমন দোলাচলে সারা বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা তো বটেই, চাকরি প্রত্যাশী সমগ্র যুব সম্প্রদায়ই অস্থির। সম্প্রতি স্পটিফাইও ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে। কর্মী সংখ্যা ৬ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা।
এরই মাঝে স্রোতের বিপরীতে হাঁটল ফুড ডেলিভারি সংস্থা (Recruitment) জোম্যাটো। সংস্থাটির সিইও দীপিন্দর গোয়েল লিঙ্কডইন-এ নিয়োগ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন। দীপিন্দরের পোস্ট অনুযায়ী ৮০০ পদে কর্মী নেবে জোম্যাটো।
দীপিন্দর গোয়েল তাঁর লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্টে পাঁচটি পদের জন্য বিজ্ঞাপন পোস্ট (Recruitment) করেছেন। পদগুলি হলো- সিইওর চিফ অব স্টাফ, জেনারেলিস্ট, গ্রোথ ম্যানেজার, প্রোডাক্ট ওনার এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার।
কী লিখেছেন জোম্যাটো সিইও?
দীপিন্দর লিঙ্কডইন-এ লিখেছেন, "জোম্যাটোতে এই ৫টি পদে আমাদের প্রায় ৮০০টি শূন্যপদ রয়েছে৷ আপনি যদি এই পদগুলির জন্য (Recruitment) সত্যিই উপযুক্ত এবং যোগ্য কাউকে চেনেন, অনুগ্রহ করে তাদের এই থ্রেডে ট্যাগ করুন৷ এই পদগুলির সম্পর্কে আরও জানার আগ্রহ থাকলে, অনুগ্রহ করে আমাকে [email protected]এ ইমেল করুন।"
সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী, জোম্যাটোর কিছু ডেলিভারি এজেন্ট চেষ্টা করছিলেন যাতে, কোম্পানির পরিবর্তে গ্রাহক এই এজেন্টদের নিজেদের অর্ডারের জন্য ২০০ টাকা বা ৩০০ টাকা দেন। একজন লিঙ্কডইন ব্যবহারকারী এই কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরেন এবং সিইও দীপিন্দর গোয়ালকে ট্যাগ করে এই বিষয়ে জানান।
আরও পড়ুন: মুড়ি গঙ্গায় বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে চুরি টাকা-গয়না, প্রশ্নের মুখে পর্যটক সুরক্ষা
তিনি জানিয়েছিলেন, অর্ডার করার মিনিট ৩০-৪০ বাদে ডেলিভারি কর্মী (Recruitment) এসে জানান, পরের বার অনলাইনে টাকা না দিতে। কারণ জিজ্ঞাসা করাতে ওই কর্মী জানান, পরেরবার সিওডি বা ক্যাশ অন ডেলিভারির মাধ্যমে ৭০০-৮০০ টাকা মূল্যের খাবার অর্ডার করলে এর জন্য মাত্র ২০০ টাকা দিতে হবে। ওই কর্মী জোমাটোকে দেখাবেন যে ক্রেতা খাবার নেননি কিন্তু আসলে অর্ডার করা খাবার দিয়ে দেবেন। অর্থাৎ এই ২০০ বা ৩০০ টাকা সম্পূর্ণ তাঁর লাভ, সংস্থার এতে কোনও লাভ হচ্ছে না। ক্রেতাও ৮০০ টাকার বদলে ৩০০ টাকাতেই খাবারও পাচ্ছেন, সাশ্রয়ও হচ্ছে! দীপিন্দর গোয়েল জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে তিনি সচেতন এবং সমাধান করার উপায়ও খুঁজে বের করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours