Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

BJP: সোমবার বারাসত এবং মথুরাপুরের দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন
Lok_Sabha_Election_2024_(7)
Lok_Sabha_Election_2024_(7)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু'টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles