মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে (Ratna Bhandar) কোনও গোপন সুড়ঙ্গ বা চেম্বার নেই। শুক্রবার ঠিক এই কথাই জানালেন ওড়িশার আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। উল্লেখ্য, দ্বাদশ শতকে নির্মিত জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের মধ্যে সুড়ঙ্গ নিয়ে রহস্যের জট বেঁধেছিল। এবার তার সমাধান সূত্র পাওয়া গেল।
শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ হবে (Ratna Bhandar)
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভান্ডারকে (Ratna Bhandar) ঘিরে ওড়িশায় লোকমুখে নানা গল্প-গুজব তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে সঠিক সমাধানের জন্য ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের (এএসআই) পক্ষ থেকে সমীক্ষা করা হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি লেজার স্ক্যানিং করা হয়। লোক মুখে গুজব ছিল যে, ওই জায়গায় সুড়ঙ্গের মধ্যে প্রচুর ধনরত্ন সঞ্চয় করা আছে। এই সব তথ্যকে নস্যাৎ করে দিয়েছে এএসআই। আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন জানান এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত এবং বিশদ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে শীঘ্রই সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ফাটল দেখা গিয়েছে
আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন বিতর্কিত রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে এএসআই-এর চলা সমীক্ষার উপর বিশেষ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, “ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ নিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই সমীক্ষা এবং অনুসন্ধান চালিয়ে স্পষ্ট জানা গিয়েছে যে, ভিতরে কোনও রকম সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব নেই। তবে লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ভিতরে অনেক ফাটলের চিত্র ধরা পড়েছে। এই সব বিষয়গুলিকে দ্রুত ঠিকঠাক করা হবে। এই রত্ন ভান্ডারের ভিতর বাইরে ক্ষয়ক্ষতির জায়গায়গুলিকে দ্রুত মেরামত করা হবে। এই গর্ভের ভিতরে থাকা মূল্যবান রত্ন, ধন এবং সামগ্রীর দ্রুত গণনার কাজ শুরু হবে। তবে গণনার সময় লক্ষ লক্ষ জগন্নাথ ভক্তের আস্থা এবং বিশ্বাসে যেন আঘাত না পড়ে, সেই দিকগুলিও নজরে রাখা হবে। মন্দিরের পবিত্রতা এবং সম্মানকে সামনে রেখে গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখা হবে। এই কার্তিক মাস পবিত্র মাস, এই মাসে ভগবানকে দর্শন করার জন্য প্রচুর ভক্তদের ভিড় মন্দির চত্বরে দেখা যায়। তাই আপাতত মেরামতের কাজ স্থগিত রয়েছে। আগামী জানুয়ারি থেকে একই কাজ শুরু হবে।”
আরও পড়ুনঃ জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে আহত উত্তরপ্রদেশের দুই পরিযায়ী শ্রমিক
রথ যাত্রার পর থেকে সমীক্ষা শুরু
উল্লেখ্য রত্ন ভান্ডার (Ratna Bhandar) নিয়ে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে। তাঁদের কাজ হবে রত্ন ভান্ডার মেরমতের কাজ দেখা, রত্ন, অলঙ্কার সহ মূল্যবান সম্পদের হিসেব রাখা। হিসেব করে রীতিমতো একটি সম্পূর্ণ তালিকা প্রস্তুত করা হবে। গত রথযাত্রা উৎসবের পর থেকে এই কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ের সমীক্ষার কাজটি গত ১৮ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় গত ২২ সেপ্টেম্বরের থেকে শুরু হয়েছে এবং এখনও তা প্রবাহমান। এই পর্যায়ের কাজ, বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার পাণ্ডের নেতৃত্বে ন্যাশনাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনজিআরআই) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours