Ramakrishna 76: “সমাধিস্থ মহাপুরুষে কাহার ভক্তির না উদ্রেক হয়, কোন্‌ পাষাণহৃদয় না বিগলিত হয়!”

Kathamrita: “সম্পূর্ণ বাহ্যশূন্য! সকলে এক দৃষ্টে দেখিতেছেন”……‘কথামৃত’ থেকে শুনুন সেই অমৃত বাণী
Ramakrishna_
Ramakrishna_

শ্রীযুক্ত কেশবচন্দ্র সেনের সহিত ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের নৌকাবিহার, আনন্দ কথোপকথন

প্রথম পরিচ্ছেদ

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণসমাধি মন্দিরে

সমবেত কেশব-প্রমুখ ব্রাহ্মভক্তগণ (Ramakrishna) জাহাজ হইতে ঠাকুরবাড়ি শোভা সন্দর্শন করিতেছেন। জাহাজের পূর্বদিকে অনতিদূরে বাঁধা ঘাট ও ঠাকুর বাড়ির চাঁদনি। আরোহীদের বামপার্শ্বে  চাঁদনির উত্তরে দ্বাদশ শিবমন্দিরের ক্রমান্বয়ে ছয় মন্দির, দক্ষিণপার্শ্বে ও ছয় শিবমন্দির। শরতের নীলআকাশ চিত্রপটে ভবতারিণীর মন্দিরে চূড়া ও উত্তরদিকে পঞ্চবটি ও ঝাউগাছের মাথাগুলি দেখা যাইতেছে। বকুলতলার নিকট একটি ও কালীবাড়ির দক্ষিণ-প্রান্তভাগে আর একটি নহবতখানা। দুই নহবতখানার মধ্যবর্তী উদ্যানপথ, ধরে ধরে সারি সারি পুষ্পবৃক্ষ। শরতের নীলাকাশের নীলিমা জাহ্নবীজলে প্রতিভাসিত হইতেছে। বহির্জগতে কোমলভাব, ব্রহ্মভক্তদের হৃদয় মধ্যে কোমলভাব। উর্ধে সুন্দর সুনীল অন্তর আকাশ, সম্মুখে সুন্দর ঠাকুরবাড়ি, নিম্নে পবিত্রসলিলা গঙ্গা, যাঁহার তীরে আর্য ঋষিগণ ভগবানের চিন্তা (Kathamrita) করিয়াছেন। আবার আসিতেছেন একটি মহাপুরুষ (Ramakrishna), সাক্ষাৎ সনাতন ধর্ম। এরূপ দর্শন মানুষের কপালে সর্বদা ঘটে না। এরূপ স্থলে, সমাধিস্থ মহাপুরুষে কাহার ভক্তির না উদ্রেক হয়, কোন্‌ পাষাণহৃদয় না বিগলিত হয়!

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

বাসাংসি জীর্ণানি যথা বিহায়, নবানি গৃহ্‌ণাতি নরোহপরাণি।

তথা শরীরাণি বিহায় জীর্ণান্যান্যানি সংযাতি নবানি দেহী।।

(গিতা—২/২২)

সমাধিমন্দিরে—আত্মা অবিনশ্বর—পাওহারী বাবা

নৌকা আসিয়া লাগিল। সকলেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে (Ramakrishna) দেখিবার জন্য ব্যস্ত। ভিড় হইয়াছে। ঠাকুরকে নিরাপদে নামাইবার জন্য কেশব শশব্যস্ত হইলেন। অনেক কষ্টে হুঁশ করাইয়া ঘরের ভিতর লাইয়া যাওয়া হইতেছে। এখনও ভাবস্থ—একজন ভক্তের উপর ভর দিয়া আসিতেছেন। পা নড়িতেছে মাত্র। ক্যাবিনঘরে প্রবেশ করিলেন। কেশবাদি ভক্তেরা প্রণাম করিলেন, কিন্তু কোন হুঁশ নাই। ঘরের মধ্যে একটি টেবিল, খানকতক চেয়ার। একখানি চেয়ারে ঠাকুরকে বাসনো হইল, কেশব একখানিতে বসিলেন। অন্যান্য ভক্তেরা যে যেমন পাইলেন, মেঝেতে বসিলেন। অনেক লোকের স্থান হইল না। তাঁহারা বাহির হইতে উঁকি মারিয়া দেখিতেছেন। ঠাকুর বসিয়া আবার সমাধিস্থ। সম্পূর্ণ বাহ্যশূন্য! সকলে এক দৃষ্টে দেখিতেছেন (Kathamrita)।

 

আরও পড়ুনঃ “কেশব তাঁহার সাধুচরিত্র ও বক্তৃতাবলে মাষ্টারের ন্যায় অনেক বঙ্গীয় যুবকের মন হরণ করিয়াছেন”

আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”

আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles