শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তসঙ্গে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে ও বলরাম-মন্দিরে
প্রথম পরিচ্ছেদ
১৮৮৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি
শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম-সমন্বয়
রামাদি (Ramakrishna) ভক্তদের প্রতি—যদি বল কোন্ মূর্তির চিন্তা করব; যে-মূর্তি ভাল লাগে তারই ধ্যান করবে। কিন্তু জানবে যে, সবই এক।
কারু উপর বিদ্বেষ করতে নাই। শিব, কালী, হরি—সবই একেরই ভিন্ন ভিন্ন রূপ। যে এক করেছে সেই ধন্য।
বহিঃ শৈব, হৃদে কালী, মুখে হরিবোল (Kathamrita)।
একটু কাম-ক্রোধাদি না থাকলে শরীর থাকে না। তাই তোমরা কেবল কমাবার চেষ্টা করবে।
ঠাকুর কেদারকে দেখিয়া বলিতেছেন—
ইনি বেশ। নিত্যও মানেন, লীলাও মানেন। একদিকে ব্রহ্ম, আবার দেবলীলা-মানুষলীলা পর্যন্ত।”
কেদার বলেন যে, ঠাকুর মানুষদেহ লইয়া অবতীর্ণ হইয়াছেন।
সন্ন্যাসী ও কামিনী—ভক্তা স্ত্রীলোক
নিত্যগোপালকে দেখিয়া ঠাকুর ভক্তদের বলিতেছেন —এর বেশ অবস্থা!
(নিত্যগোপালের প্রতি)—তুই সেখানে বেশি যাসনি।—কখনও একবার গেলি। ভক্ত হলেই বা—মেয়েমানুষ কিনা। তাই সাবধান।
সন্ন্যাসীর বড় কঠিন নিয়ম। স্ত্রীলোকের চিত্রপট পর্যন্ত দেখবে না। এটি সংসারী লোকেদের পক্ষে নয়।
স্ত্রীলোক যদি খুব ভক্তও হয়—তবুও মেশামেশি করা উচিত নয়। জিতেন্দ্রিয় হলেও-লোকশিক্ষার জন্য ত্যাগীর এ-সব করতে হয়।
সাধুর ষোল আনা ত্যাগ দেখলে অন্য লোকে ত্যাগ করতে শিখবে। তা না হলে তারাও পড়ে যাবে। সন্ন্যাসী জগদ্গুরু (Ramakrishna) ।
এইবার ঠাকুর (Ramakrishna) ও ভক্তেরা উঠিয়া বেড়াইতেছেন। মাস্টার প্রহ্লাদের ছবির সম্মুখে দাঁড়াইয়া ছবি দেখিতেছেন। প্রহ্লাদের অহেতুকী ভক্তি—ঠাকুর বলিয়াছেন (Kathamrita)।
আরও পড়ুনঃ “একটা ঢোঁড়ায় ব্যাঙটাকে ধরেছে, ছাড়তেও পাচ্ছে না—গিলতেও পাচ্ছে না…”
আরও পড়ুনঃ “বিবেক, বৈরাগ্যরূপ হলুদ মাখলে তারা আর তোমাকে ছোঁবে না”
আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?"
আরও পড়ুনঃ “হাততালি দিলে যেমন বৃক্ষের উপরের পাখি সব পালায়, সব পাপ তাঁর নামগুণকীর্তনে চলে যায়”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours