মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল বিজেপির দু’ দিন ব্যাপী জাতীয় কনভেনশন। অযোধ্যার রাম মন্দির নিয়ে এই কনভেনশনেই পাশ হল রেজলিউশন (BJP Resolution)। রাম মন্দির নির্মাণের মধ্যে দিয়েই শুরু হল রাম রাজ্যের, যা চলবে হাজার বছর ধরে। এই মর্মেই জোর দেওয়া হয়েছে এই রেজলিউশনে।
রাম মন্দির
রেজলিউশনে বলা হয়েছে, ভগবান রামের জন্মস্থান অযোধ্যায় রামের জন্মস্থানে নয়নাভিরাম রাম মন্দির গঠন করা হয়েছে। মন্দিরটি ভগবান রামকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এটি জাতির একটি গৌরবজনক অধ্যায়। রাম মন্দির নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ভগবান শ্রী রাম এবং রামায়নের সীতার একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে। আমাদের সংবিধানও যে রাম রাজ্যের ধারণা থেকে প্রাণিত হয়েছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে এই রেজলিউশনে।
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
এই রেজলিউশনেই (BJP Resolution) বলা হয়েছে, সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও বিচারের ধারণা রয়েছে, তা মিলেছে ওই রাম রাজ্যের ধারণা থেকে। সংবিধানের যে আসল কপি, তাতেও ভগবান শ্রী রাম, মা সীতা এবং লক্ষ্ণণজির লঙ্কা জয় করে অযোধ্যায় ফিরে আসা, এসবেরই প্রেরণা রয়েছে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের নেপথ্যে। রেজলিউশনে এও বলা হয়েছে, রাম রাজ্যের ধারণা থেকেই প্রাণিত হয়েছেন মহাত্মা গান্ধী। এটিই প্রকৃত গণতন্ত্রের এপিটোম।
আরও পড়ুুন: “ভারতের সমালোচনা নয়, প্রশংসা করা উচিত”, বললেন জয়শঙ্কর
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রতিষ্ঠিত হয় বালক রামের মূর্তি। এই মন্দির নির্মাণের সিংহভাগ ক্রেডিটই বিজেপি নেতাকর্মীরা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করতে আসতে যাতে দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয়, সেজন্য তৈরি করা হয়েছে বিমানবন্দর। ঢেলে সাজানো হয়েছে অযোধ্যা রেলস্টেশনকেও। প্রতিদিন ৫০-৫৫ হাজার দর্শানার্থী আসছেন মন্দির দর্শনে। এই মন্দির উদ্বোধনের সময়ও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, সংবিধানেই রয়েছে রাম রাজ্যের ধারণা। পদ্ম শিবিরের বিশ্বাস, সেই রাম রাজ্যই প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে (BJP Resolution)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours