Raju Bista: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত, কটাক্ষ রাজু বিস্তার

TMC: অলিম্পিক্সে কোন খেলা হলে পদক পেত তৃণমূল? জানালেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ
Raju_Bista_Mp
Raju_Bista_Mp

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অলিম্পিক্সে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা হলে, তৃণমূল কংগ্রেস স্বর্ণ পদক পেত। সংসদে এভাবেই রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista) । একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যের উপর ৭ লক্ষ কোটি টাকার ঋণের বোঝা চাপিয়েছে তৃণমূল (TMC) । তাঁর আরও অভিযোগ পরিকল্পনা মাফিক দার্জিলিংয়ে বদলে দেওয়া হচ্ছে জনসংখ্যার বিন্যাস। দার্জিলিং, ডুয়ার্স এবং তরাই এলাকায় এই ঘটনা ঘটছে। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্র সরকারকে হস্তক্ষেপের আবেদন জানান তিনি।

বাংলার অর্থনৈতিক অধঃপতনের জন্য দায়ী তৃণমূল (Raju Bista)

দার্জিলিঙে দু-বারের সংসদ রাজ্যের শাসক দলকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন এবং এদিন (Raju Bista) সংসদে বলেন, “প্রত্যেকটি সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতি করছে শাসক দলের লোকেরা। স্বচ্ছ ভারত মিশন, গ্রাম সড়ক যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় এই রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এদিন কটাকে সুরে দার্জিলিং-এর সাংসদ বলেন, “যখন দেশ স্বাধীন হয়েছিল, তখন ‘বেস্ট বেঙ্গল’ ছিল আর আজ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির জন্য তা ‘ওয়োর্স্ট বেঙ্গল’-এ পরিণত হয়েছে। সংসদের বাজেটের উপর আলোচনা চলাকালীন এই অভিযোগ করেন তিনি।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা (TMC)

রাজ্যের শাসক দলকে (TMC) ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করে রাজু। তাঁর অভিযোগ, “যেভাবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতকে লুট করার জন্য এদেশে এসেছিল, শাসক দল একইভাবে জনগণের টাকা লুট করছে। রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট, স্বচ্ছ ভারত, এমজিনারেগা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, বর্ডার এরিয়া ডেভলপমেন্ট ফান্ড প্রত্যেক প্রকল্পে তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ দার্জিলিংয়ের সাংসদের (Raju Bista)।

রাজ্যের ঋণ ৭ লক্ষ কোটি

রাজ্য যেভাবে মুড়ি-মুড়কির মত ঋণ নিচ্ছে তারও সমালোচনা করেন তিনি। (Raju Bista) বলেন, “সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করে ১.৯০ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। এবং শাসক দল মাত্র ১ দশকে সেই ঋনের বোঝা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ কোটি টাকায় নিয়ে গিয়েছে। রাজ্যকে দেনার দায়ে ডুবিয়ে দিতে চাইছে মমতাজ সরকার। তাঁর অভিযোগ বর্তমান (TMC) সরকারের আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজ্য শুধু পিছিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের প্রতি ব্যক্তি আয় উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির তুলনাতেও কম। একটা সময় ছিল যখন ভারতবর্ষের ৩০% উৎপাদন পশ্চিমবঙ্গ থেকে হত। এখন তা কমতে কমতে ৩% এসে ঠেকেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের সাথে আধার লিঙ্ক করে দুর্নীতি কিছুটা ঠেকানো গিয়েছে বলে দাবি রাজুর। তাঁর দাবি রাজ্যে আগে ৩.৮৮ কোটি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের উপভোক্তা ছিলেন। আধার লিঙ্ক করিয়ে দেখা যায় সেই সংখ্যা কমে ২.৫ কোটিতে এসে ঠেকেছে।  অর্থাৎ রাজ্যে ১কোটি ৩৩ লক্ষ ফেক এমজিনারেগা কার্ড বানানো হয়েছিল।

আরও পড়ুন: বাংলায় দিন বদল হবেই, দিল্লিতে বৈঠকে বিজেপি সাংসদদের উজ্জীবিত করলেন মোদি

যেগুলি বাংলাদেশিরা ব্যবহার করছিলেন। একইভাবে রাজ্যে যত দুর্নীতি যেমন চিটফান্ড দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন কেলেঙ্কারি, কয়লা কেলেঙ্কারি, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি, গরু পাচার, বালি চুরি, কয়লা পাচার সবেতেই তৃণমূল নেতাদের যোগ প্রকাশে এসেছে।

 

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles