মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে অপসারিত রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার (Rajpur- Sonarpur Municipality) উপ প্রধান মোফারজাল হোসেন। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেল বেলা রাজপুর- সোনারপুর পুরসভার চেয়্যারম্যান পল্লব কুমার দাস এই অপসারণের নোটিস জারি করেছেন। অপসারণের নোটিস প্রত্যেক কাউন্সিলরকে দিয়েও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩,০০০ টাকা মাস মাইনের স্কুলের চাকরিও করেছেন, জানালেন অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা
মোফারজাল হোসেন ওরফে ভুলুর বিরুদ্ধে মিউটেশনের ফাইল বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহুবার। মনে করা হচ্ছে ফাইল বাড়ি নিয়ে গিয়ে, কাজ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতেই টাকার অনৈতিক লেনদেন সারতেন তিনি। যদিও সেই কারণেই এই অপসারণ কি না সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। পল্লব কুমার দাসকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ওপর তলা থেকে আদেশ এসেছিল। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।
এর আগেও এই পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি দুর্নীতিই তৃণমূল শাসিত এই পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলির প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এ তো তৃণমূল জমানায় নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু হঠাৎ দুর্নীতি দমনে তৃণমূলের শীর্ষ মহলে এত সক্রিয়তা কেন? পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের আস্থা ফিরে পেতে চাইছে মমতা সরকার? নাকি পুরোটাই 'গিমিক'! এ নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে।
মোফারজাল হোসেন সোনারপুর কাউন্সিলরদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। তাঁর প্রতি আস্থা দেখিয়েছে মমতা প্রশাসনও। প্রথমবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরই তাঁকে উপ প্রধানের পদ দেওয়া হয়। কিন্তু অল্প সময়েই ভেঙে গেল বিশ্বাস। কী এমন হল? তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
কিন্তু এ ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ভাইস চেয়্যারম্যান শান্তা সরকারকেও সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ ছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours