Indian Railways: জটে জমি আটকে রেল (পর্ব-১): ১৩ বছরের প্রাপ্তি ৮টি স্তম্ভ! জমি জটে বিশ বাঁও জলে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প

জমি জটে আটকে রয়েছে রাজ্যের ৪৪টি রেল প্রকল্প, এরমধ্যে রয়েছে আমতা-বাগনান রেল প্রকল্প
opiij
opiij

মাধ্যম নিউজ জেস্ক: ২০১০ সালে ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছরের ১০ জানুয়ারি শিলান্যাস করেন আমতা-বাগনান রেল প্রকল্পের (Indian Railway)। এরমধ্যে কেটে গিয়েছে ১৩টা বছর। প্রকল্পের কাজে নির্মিত আটটি স্তম্ভ দাঁড়িয়ে রয়েছে। শিলান্যাসের পরেই রেল অবশ্য কিছুটা কাজ করতে পেরেছিল পুরনো অধিগৃহীত জমিতে। ব্যস ওইটুকুই। পরে আর জমি মেলেনি, তাই থমকে রয়েছে কাজ। 

রেল (Indian Railway) কী বলছে?

রেল (Indian Railway) দফতর বলছে, আটের দশক নাগাদ এই প্রকল্পের প্রথম পরিকল্পনা করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী গনি খান চৌধুরী।  তার অনেক পরে ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে প্রকল্পটিতে অনুমোদন দেয় রেল। প্রকল্প অনুযায়ী, আমতা থেকে বাগনান পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা। ঠিক হয় এরমাঝে ফতেপুর এবং হারোপে হবে দুটি স্টেশন। প্রকল্পের মোট বাজেট ধরা হয় ১৯৫ কোটি টাকা। 

রেল (Indian Railway) আরও বলছে, প্রকল্পটির বাস্তবায়নের জন্য মোট ১৬৮ একর জমির প্রয়োজন পড়ে কিন্তু শিলান্যাসের দিন অবধি অবধি রেল কোনও জমি পায়নি। কাজ শুরু হয়, রেলের (Indian Railway) হাতে থাকা সামান্য জমির ওপর। ওই জমিতে মোরাম ফেলা হয়। প্রকল্পের অংশ হিসাবে দামোদরের ওপর সেতু তৈরি করার জন্য সেচ দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়। তখনই নির্মাণ করা হয় আটটি স্তম্ভ। শিলান্যাসের পর থেকে ছয় মাস অবধি এইটুকু কাজই করতে সক্ষম হয় রেল। প্রকল্পের মোট বাজেটের ৩ শতাংশ ব্যয় হয় তখনই, টাকার অঙ্কে প্রায় ৬ কোটি। তারপর থেকেই বন্ধ কাজ।



জমি জটের কারণ কী?

জানা গিয়েছে প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ১৬৮ একর জমির পুরোটা ৮২৯টি ছোট ছোট প্লটে বিভক্ত। জমির মালিকানা নিয়েও রয়েছে ব্যাপক জটিলতা। সমস্যার সমাধানের জন্য ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর এবং ২৩ নভেম্বর এই দুটি তারিখে জমি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য তুলে দেওয়া হয় রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের হাতে। রেলের (Indian Railway) আক্ষেপ, জমি সমস্যার সমাধানে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। রেল (Indian Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্প এখনও বাতিল হয়নি, পুরো জমি হাতে পেলে আবারও শুরু হবে কাজ।

রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর কী বলছে 

রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বলছে, রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতি হল, জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এর ছাড় রয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত রাজ্য সরকারের অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে, ততদিন অবধি জমি অধিগ্রহণ করা যাবেনা।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles