মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা-বিরোধী (Quota Reform Movement) আন্দোলনের তদন্ত করতে গিয়ে বিচার বিভাগীয় কমিশন ঘটেছে গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। এরই মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও গণ জ্ঞাপন বিষয়ক উপদেষ্টা সাজিদ-ওয়াজেদ জয়ের তরফে। তিনি বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে পড়ুয়ারা যে আন্দোলন (Bangladesh Quota Protest) শুরু করেছিল, সেটাকে হিংসাত্মক আন্দোলনে পরিণত করেছে বিরোধী দল বিএনপি এবং জামাত-এ-ইসলামী। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে হিংসার পথ অবলম্বন করেছে এই জোট। বাংলাদেশে শেষ কয়েকদিন ধরে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে, তার সঙ্গে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের কোন সম্পর্ক নেই।”
জামাত বিএনপির চক্রান্তে হিংসা (Bangladesh Quota Protest)
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তরফে এমন সময় মন্তব্য এসেছে, যখন হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। ৫ জুন সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর থেকে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ (Bangladesh Quota Protest) দেখাতে শুরু করে। ১ জুলাই থেকে আন্দোলন ধীরে ধীরে তীব্র হতে শুরু করে। ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি দিক থেকে চরম হিংসাত্মক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের সামিল হয় জামাত-এ- ইসলামী ও বিএনপি। শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধেও পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর রবিবার ৫৬ শতাংশের সংরক্ষণকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পরেই প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও গণ জ্ঞাপন বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল হাসিনা সরকার। দ্রুত শুনানির জন্য অ্যাপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সংস্কার হবে, হাইকোর্টের রায় খারিজ করে জানাল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট
রবিবার সরকারের চেষ্টাতেই সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে এনেছে। মোট সাত শতাংশের কোটার মধ্যে পাঁচ শতাংশ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য। এক শতাংশ থাকবে অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য। বাকি এক শতাংশ প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। মোট আসনের ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।
১৫৫ জনের মৃত্যুতেও থামছে না আন্দোলন (Quota Reform Movement)
সাজিদ ওয়াজেদ জয়ের অভিযোগ, জামাত এবং বিএনপির লোকজন আক্রমণ চালিয়েছে সুরক্ষা বাহিনী, সাংবাদিক এবং সরকারি আধিকারিদের উপরে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভবন এবং সরকারি ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, কোটাবিরোধী আন্দোলনে (Quota Reform Movement) মোট ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার কঠোরভাবে (Bangladesh Quota Protest) আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। সেনার ট্যাঙ্ক নামানো হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেশ জুড়ে কারফিউ লাগু করা হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours