মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur) কি এখন হিংসা ছড়াতে আসছে বহিরাগতরা? এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। কেন এই প্রশ্ন উঠছে? অসম রাইফেলস মণিপুর সরকারকে দু দিন আগে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ওই রিপোর্টে অসম রাইফেলস-এর দাবি, ২২ জুলাই এবং ২৩ জুলাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই মণিপুরে ঢুকেছে ৭১৮ জন মায়ানমারের বাসিন্দা। সোমবার একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দফতর। এই খবর সামনে আসতেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
দু-মাস ধরে অগ্নিগর্ভ মণিপুর (Manipur)
বিগত দু-মাস ধরে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষে ইতিমধ্যে ১৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি অগ্নিসংযোগ, লুঠ তো চলছেই, দিন কয়েক আগে এক মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। মণিপুরে শান্তি ফেরাতে কুকি এবং মেইতেই উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাতেও বদলায়নি অশান্তির চিত্র। সব থেকে বড় কথা, এখনও বোঝা যাচ্ছে না ৭১৮ জনের এই দল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মণিপুরে ঢুকেছে কিনা! অসম রাইফেলসের মতে, চান্দেল জেলা হয়ে এই অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকেছে। এখানেই রয়েছে ইন্দো-মায়ানমার সীমানা। মণিপুরে (Manipur) মুখ্যসচিব বিনীত যোশী জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সীমান্তের নিরাপত্তারক্ষীদের বলা হয়েছে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নওয়ার জন্য।
কী বলছে মণিপুর প্রশাসন?
মণিপুর সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিতে জানিয়েছে, মণিপুরের এই ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ৭১৮ জন অনুপ্রবেশকারীর ভারতে প্রবেশ যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এতে। জানা গিয়েছে, এই অনুপ্রবেশকারীদের পুনরায় মায়ানমারে ফেরত পাঠাতে তৎপর হয়ে উঠেছে মণিপুর (Manipur) প্রশাসন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ আরএসএস নেতা মদন দাস দেবীর জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours