মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মে (Hindu religion) পুজো-অর্চনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রীতি। বাড়িতে পুজো করলে একটা গঠনমূলক ভাবনা প্রবাহিত হয়। এছাড়া ভক্তি সহকারে ঠাকুরের আরাধনা করলে মনে শান্তি লাভ করা যায়। যে বাড়িতে নিয়মিত পুজো-অর্চনা (Puja Rituals) হয়, সেখানে ঈশ্বরের আশীর্বাদ বজায় থাকে। ঠাকুরের দয়ায় জীবনের সব সমস্যা কেটে যায় ও সাফল্য লাভ করা সম্ভব হয়। এই কারণেই সনাতন ধর্মে সঠিক নিয়ম মেনে পুজো করার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যে, দু-বেলা পুজো করা উচিত। মন্ত্র জপের পাশাপাশি পুজোয় অন্নদানের গুরুত্ব রয়েছে। সঠিক পদ্ধতিতে নৈবেদ্য দিলেই ঈশ্বর সন্তুষ্ট হন। তবে কতক্ষণ ঠাকুরের সামনে প্রসাদ (Pujo Prasad Rules) রাখা উচিত, তা জানেন কি?
ভোগ দেওয়ার সময় (Puja Rituals)
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পুজো (Puja Rituals) দেওয়ার পর অবিলম্বে ঠাকুরের কাছ থেকে প্রসাদ সরিয়ে নেবেন না, বা দীর্ঘ সময়ের জন্যও ঠাকুরের সামনে প্রসাদ রেখে দেবেন না। পুজোর পর ঠাকুরের সামনে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য ভোগ রাখা ভালো। এরপরে, ভোগ গ্রহণ করুন এবং প্রত্যেকে এটি প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করুন। তবে ভোগকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুরের সামনে ফেলে রাখবেন না। কারণ এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। উল্লেখ্য ঠাকুরকে ভোগ নিবেদন করার পর এই প্রসাদ মাটিতে রাখবেন না। আবার ঠাকুরের ভোগ প্রসাদ হয়ে গেলে তা আর মূর্তির খুব বেশি কাছাকাছি রাখবেন না। এছাড়া ঠাকুরকে খাবার দেওয়ার সময় সঙ্গে জল নিবেদন করতে ভুলবেন না। ঠাকুরের ভোগ সব সময় পিতল, রূপো, সোনা বা মাটির বাসনে নিবেদন করবেন। একই ভাবে কলাপাতায় প্রসাদ (Prasad) বিতরণ করা শুভ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুনঃ প্রথমবার পেট্রাপোল পেরিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছালেন মহিলা ট্রাকচালক
নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ
তবে যদি আপনি উপবাস রেখে পুজো (Puja Rituals) করেন, তাহলে ভগবানকে অন্ন নিবেদনের জন্য মন্ত্র (Mantra) পাঠ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নৈবেদ্যর জন্য মন্ত্রপাঠ করলেই ঈশ্বর নিবেদন গ্রহণ করেন। তাই অন্নভোগ অর্পণ করার সময় মন্ত্রপাঠ করা উচিত। তবে পুজোর পর নিজের জন্য নিজে প্রসাদ নেবেন না। এই প্রসাদ আপনি প্রথমে সবার মধ্যে ভাগ করে দিন। এরপর নিজে প্রসাদ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours