Bratya on Sukanya Job: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

Primary TET Corruption: যে সময় চাকরি পেয়েছেন কেষ্ট-কন্যা, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গদিতে ছিলেন ব্রাত্য। এখন কি দায় নেবেন মন্ত্রীমশাই...?
bratya-sukanya
bratya-sukanya

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট (Primary TET) পাশ না করেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা সুকন্যা (Sukanya Mondal) যে প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি (Primary Teachers Job) পেয়েছিলেন, এমন অভিযোগ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) তোলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতির নির্দেশে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে টেট শংসাপত্র সহ সশরীরে হাজির হতে হবে কেষ্ট-কন্যাকে। আদালতে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। সেখানেই শিক্ষকতার চাকরি করতেন অনুব্রত কন্যা। যদিও যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়ে যাননি তিনি। বাড়িতেই পাঠিয়ে দেওয়া হত রেজিস্টার। তার প্রেক্ষিতেই অনুব্রত-কন্যাকে হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

তবে, চমকের এটাই শেষ নয়। জানা গিয়েছে যে, ২০১২ সালে টেটের ভিত্তিতেই চাকরিতে যোগদান করেছিলেন সুকন্যা। অর্থাৎ, ২০১২ সালের টেট পরীক্ষা হয়। সুকন্যার নিয়োগ হয় ২০১৩ সালে। সময়টা গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গদিতে ছিলেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। রাজ্যে পালাবদলের পর, ২০১১ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সময় মমতা মন্ত্রিসভার প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ব্রাত্য। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ কিনা, সুকন্যার নিয়োগ প্রক্রিয়া যে সময় ঘটেছে, তখন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য তাঁর মধ্যগগনে। 

আরও পড়ুন: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম জড়িয়ে গেল, তখন নিয়োগের দায় অস্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সাফাই দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ওটা যাদের সময়ে হয়েছে, তাদেরকেই দায় নিতে হবে। তারাই উত্তর দিতে পারবে। কিন্তু, সুকন্যার নিয়োগের বিষয়ে কী বলবেন ব্রাত্য? তথ্য তো বলছে, কেষ্ট-কন্যার নিয়োগ প্রক্রিয়া তাঁর আমলে হয়েছে। যদিও, এখন সুকন্যার মাস্টারি নিয়ে প্রশ্ন শুনে আকাশ থেকে পড়ছেন ব্রাত্য। বুধবার তাঁকে এই মর্মে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য জানান, তিনি নাকি জানেনই না, কেষ্ট-কন্যা রাজ্য সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন! বলেন, ‘‘উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তাই জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।’’ 

এখানে বলে রাখা দরকার যে, কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ঘিরে ব্রাত্যর দিকেও শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ওই ভিডিওতে বলতে শোনা গিয়েছিল ব্রাত্য বসু ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু সেন শর্মাকে। ভিডিওতে রাজুকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘দাদা প্রাইমারিতে আমাদের ছেলেদের চাকরি দিয়েছে এবং আমরা যা বলেছিলাম তার কয়েক গুণ বেশি দিয়েছে।’’ আবার অন্য একটি ভিডিয়োতে ব্রাত্য বসুর গলায় শোনা যাচ্ছে, ‘‘চাকরি তো তৃণমূলের ছেলেরাই পাবে, কখন পাবে কীভাবে সেটা বলব না।’’ যদিও ওই ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক'শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

পার্থর ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটা করে সাংবাদিক সম্মেলন করে পার্থ-ববিরা বলেছিলেন, ‘‘পার্থ যা করেছেন, তাতে আমরা লজ্জিত। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, তৃণমূলের সবাই চোর।’’ এখন সুকন্যা-ইস্যুতে কি বলবেন ব্রাত্য? তাঁর কি লজ্জা হচ্ছে? সময়ই দেবে এর উত্তর।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles