মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা তৃণমূলের কাউন্সিলর। স্বাভাবিকভাবে ছেলে নিজেকে 'বেতাজ বাদশা' ভাবে। আর সেই ক্ষমতার দম্ভে এক স্কুল ছাত্রীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় (Titagarh) পুরসভা এলাকায়। নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলরের ছেলেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাহুল সোনকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড়ের (Titagarh) এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে কাউন্সিলরের ছেলের পরিচিত এক কিশোরীর পড়াশুনার কোনও একটি বিষয় নিয়ে গন্ডগোল বাধে। দুই স্কুল ছাত্রীর মধ্যে বচসা হয়। হাতাহাতি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যদিও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটে যায়। এরপরই বিষয়টি কাউন্সিলরের ছেলেকে সমস্ত বিযয়টি ওই কিশোরী বলে। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে রাহুল বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপরই তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের কতটা ক্ষমতা তা দেখাতে দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে এসে হাজির হয়। ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে প্রকাশ্যে জুতো দিয়ে মারতে থাকে বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রী বাধা দিতে গেলে তার জামা ছিঁড়ে দেয়। পরে, এক প্রতিবেশী যুবক নিজের জামা খুলে ওই ছাত্রীকে দেন। এক প্রতিবেশী বলেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে বলেই কী ও যা খুশি তাই করবে। সকলের সামনে ওই মেয়েটাকে মারল। তার শ্লীলতাহানি করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি লবণ বিক্রি করেই কোটিপতি! ব্যবসায় নতুন দিশা দেখাচ্ছেন তিন বন্ধু
নির্যাতিতার কী বক্তব্য?
নির্যাতিতা (Titagarh) ছাত্রী বলে, পড়াশুনা নিয়ে সামান্য গন্ডগোল। বচসা চলাকালীন আমাকে গালিগালাজ করে। আমিও তাকে গালিগালাজ করি। তারপর মিটে যায়। আমি বাড়ি ফিরে আসার পর কয়েকজন দল বেঁধে এসে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। কাউন্সিলরও ছিল। তাঁর ছেলে আমার ওপর চড়াও হয়। সকলের সামনে আমাকে জুতোপেটা করে। আমার দাদা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে। আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমার জামা ছিঁড়ে দেয়। সামান্য গন্ডগোলের জন্য আমার সঙ্গে এভাবে আচরণ করবে তা ভাবতে পারছি না।
তৃণমূল কাউন্সিলরের কী বক্তব্য?
তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর রাজেন্দ্র সোনকার বলেন, দুজন ছাত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। কী কারণে ঝামেলা তা আমি জানি না। তবে, এই গন্ডগোলের সঙ্গে আমার ছেলের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। এরপরই পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এতে আমার কিছু বলার নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours