মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরে (Barrackpore) চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের মৃত্যু রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে জমা পড়ল। রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন, না তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা ধন্দে রয়েছেন। কারণ, একজন আত্মহত্যা করলে তাঁর শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকতে পারে না। ফলে, পুলিশ আধিকারিকরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
কী বললেন প্রজ্ঞাদীপার মা?
ঘটনার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তাঁর মা ঝর্না হালদার। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই বারাকপুরের (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে সুবিচারের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে মেয়েকে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ আধিকারিকদের তিনি জানান।
খোঁজ নেই চার বাংলাদেশির
১৯ জুন লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির সিলিং অনেক উঁচুতে। সেখানে কী করে ওই মহিলা চিকিৎসক কাপড় ঝোলালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। চিকিৎসকের মৃত্যুর দিনই সন্ধ্যায় চার বাংলাদেশি বন্ধুর সঙ্গে কৌশিক বারাকপুরের (Barrackpore) একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান পরিদর্শন করেছিলেন। তাঁদের একটি গেস্ট হাউসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে, ২০ জুন মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে বাংলাদেশি চার বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশি চারজনের খোঁজ মেলেনি। তাদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কৌশিক শুধু পুলিশকে বলেছেন, ওই চার বাংলাদেশি আমার পরিচিত বন্ধু। আমি তাদের বারাকপুরের (Barrackpore) বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখিয়েছি। শনিবারই বিকেলের পর ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। যে ঘরের মধ্যে থেকে চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই ঘরের ভিতর থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় তারা। কলকাতায় কৌশিকের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে একত্রবাসে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানরা কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। উলটে পুলিশই তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours