মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Vote) ঘোষণার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে হিংসা ছড়িয়েছে। ঝরেছে বেশ কয়েকটি তরতাজা প্রাণ। প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল। শুক্রবারই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, ক্যানিং-১ ব্লকে কেন একজনও বিরোধী প্রার্থী পাওয়া গেল না? এনিয়ে হলফনামা জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একই চিত্র মালদা জেলাতে দেখা যাচ্ছে। সেখানকার জেলা পরিষদের ৪৩টি আসনেই প্রার্থী দিলেও গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৪৪ শতাংশ এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারল না ভারতীয় জনতা পার্টি। এর জন্য অবশ্য শাসক দলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করছেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু।
কী বলছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ?
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের কারণেই ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করেছিলেন আমাদের কাছে। তরুণ প্রজন্ম সব থেকে বেশি উৎসাহী ছিল। ভিড় লক্ষ্য করা গেছে মহিলাদেরও।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাস চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। তাই মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat Vote) এবং পঞ্চায়েত সমিতির বহু জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি।’’ প্রসঙ্গত, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কমিশনকে জানাতে হবে কেন ২০ হাজারেরও বেশি মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হল? মঙ্গলবার ২৭ জুন হাইকোর্টে এবিষয়ে হলফনামাও জমা দিতে হবে কমিশনকে। বিরোধীদের তোলা অভিযোগে এভাবেই সিলমোহর দিতে দেখা গেল মহামান্য হাইকোর্টকে।
মালদার চিত্র
মালদা জেলা পরিষদের ৪৩ আসনের ৬ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী সহ সব আসনেই ভারতীয় জনতা পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। তবে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩,২১৬ আসনের মধ্যে ১,৮১০ আসনে প্রার্থী দিলেও ১,৪০৬ আসন অর্থাৎ প্রায় ৪৪ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩৯ আসনের মধ্যে ৩১৭ আসনে প্রার্থী দিতে পারলেও ১২২ টি আসন অর্থাৎ প্রায় ২৮ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি মালদা জেলা ভারতীয় জনতা পার্টি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours