Gold Shop: সোনার দোকানের ভিতরে থাকা ডাকাত ধরতে পুলিশের মাইকিং, জেলা জুড়ে শোরগোল

দুঘণ্টার পর অবশেষে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়
Gold_Shop
Gold_Shop

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোনার দোকানের (Gold Shop) সামনেই চলছে  পুলিশি মাইকিং। আর দোকানের ভিতরে রয়েছে একদল ডাকাত। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে আগ্নেয়াস্ত্র বাইরে ফেলে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে রয়েছেন কয়েকশো মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন রামপুরহাটের নিউটাউন এলাকার মানুষ। দেখে মনে হবে সিনেমার কোনও শুটিং চলছে। কিন্তু, বাস্তবে একদল ডাকাতকে হাতনাতে ধরতে পুলিশ এভাবে দোকানের বাইরে মাইকিং করার দৃশ্য এই এলাকার মানুষ আগে কখনও দেখেননি। অন্যদিকে,  ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। ঘটনায় দুটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে একটি নাইন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র, পাঁচটি গুলি ও বেশ কিছু সোনার ও রুপোর গহনা উদ্ধার করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

এদিন সন্ধে প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ ডাকাতের দল ওই সোনার দোকানে (Gold Shop) ঢোকে। ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাটের নিউটাউনের কাছে অবস্থিত ওই সোনার দোকানে (Gold Shop) হানা দেয় চার–পাঁচ জনের একটি ডাকাত দল। সেই সময় দোকান মালিকের তৎপরতায় এলাকার বাসিন্দারা ঘটনস্থলে পৌঁছে যায়। কিন্তু, ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা  সোনার দোকানের ভিতরে ঢুকে গিয়ে দোকান ভিতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর এলাকাবাসীরা দোকানের সামনে পৌঁছে দোকানটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং খবর দেওয়া হয় পুলিশে। টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় রামপুরহাটের ওই সোনার দোকান চত্বরে। খবর পেয়ে পুলিশের নাগাড়ে মাইকিংয়ের পরেও দোকান থেকে দুষ্কৃতীরা বের হয়নি। পরে,  ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে ডাকাত দলের গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করে পুলিশ। পুলিশ দোকান এবং বাড়ির ভিতরে ঢোকার প্রস্তুতি নেয়। ডাকাত দলের উদ্দেশে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তারপর সবকিছু চুপচাপ হয়ে যায়। দোকানের (Gold Shop)  মালিক বেরিয়ে এসে জানান, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে।

কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

রামপুরহাটের বুকে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেছে। তাতে সন্দেহ নেই। তবে, এত চেষ্টা করার পরও যদি দুষ্কৃতীদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা সম্ভব হত, তাহলে আরও ভাল লাগত। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, একটি বাড়ির নীচেরতলায় সোনার দোকানটি (Gold Shop) রয়েছে। আর দোকানের পিছনে ফাঁকা মাঠ। দুষ্কৃতীরা কোনওভাবে দোকানের পিছনের দরজা দিয়ে বের হয়। পরে, তারা আম গাছে উঠে পাঁচিল টপকে ফাঁক মাঠ দিয়ে পালিয়ে যায়।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles