মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণবিদ্রোহের জেরে উত্তাল পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর (POJK Violence)। অন্তত একজন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ৯০ জন। রবিবারও প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে। পালিত হয়েছে হরতালও। সামাহিনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, খুরিট্টা, তত্তপানি হাট্টিয়ান বালা – পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই সব অঞ্চলেই হয়েছে প্রবল প্রতিবাদ।
পাকিস্তানে উড়ল তেরঙ্গা (POJK Violence)
রাওয়ালকোটে ভারতের তেরঙ্গা ঝান্ডা উড়িয়েছেন প্রতিবাদকারীরা। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই ঘটনা এই প্রথম। মিরপুরের পুলিশ সুপার কামরন আলি আডনান কুরেশি ডিউটি করছিলেন ইসলামগড়ে। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। প্রতিবাদকারীদের বাধা দেওয়ায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এদিন কোটলি এবং পুঞ্চ জেলায় প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ব্যানারে। পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের (POJK Violence) মুজফফরবাদে উত্তেজিত জনতা বেধড়ক পেটায় পাক রেঞ্জার্সের জওয়ান ও পুলিশ কর্মীদের। তাঁদের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে দেয়। আজাদির স্লোগানও দেন আন্দোলনকারীরা। ভারতভুক্তির দাবির পাশাপাশি তাঁরা ওড়ান ভারতের তিরঙ্গা পতাকাও।
Indian tricolour 🇮🇳 hoisted in Rawalkot, #POJK. That part of our great nation will rejoin us in the next years. pic.twitter.com/SbfnqrtqdQ
— Abhijit Majumder (@abhijitmajumder) May 11, 2024
অশান্তির সূত্রপাত
মে মাসের ৮-৯ তারিখে জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির প্রায় ৭০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার আগে তল্লাশি চালানো হয় তাঁদের বাড়িতে। তার পরেই করা হয় গ্রেফতার। এর পরেই ১০ মে চাক্কা জ্যাম ও হরতালের ডাক দেয় কমিটি। রবিবার মুজফফরবাদের দিকে মিছিলও করেন প্রতিবাদীরা। ১০ তারিখের এই হরতালের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। মুজফফরবাদের বিভিন্ন পকেটে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষের আগুন। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। প্রতিবাদীদের দমন করতে এবং নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ ইন্টিরিয়র ডিভিশনের সেক্রেটারিকে কয়েক প্লেটুন সিভিল আর্মড ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানায়।
আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ
পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা আমজাদ আয়ুব মির্জা বলেন, “পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না ভারত। অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক।” জারি করা বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লোকজন লড়াই করছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীরা তামাম পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হরতাল পালন করছেন। পাকিস্তানি পুলিশ, পাঞ্জাব পুলিশ, এফসি এবং আজাদ কাশ্মীর পুলিশ তাদের পেটাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।” তিনি বলেন, “ভারত সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না করে পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর ও গিলগিট বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের খপ্পর থেকে মুক্ত করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে (POJK Violence)।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours