মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের পরে কৃষ্ণনগরেও প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) ভাষণে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। নিজের ভাষণে সন্দেশখালির মহিলাদের মা দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। এদিন তৃণমূলের নতুন নামকরণও নমো। একইসঙ্গে বাংলার মাটিতে আসন্ন লোকসভা ভোটে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের ৪২টি আসনেই পদ্ম ফোটানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘‘বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়িয়েছে’’
তৃণমূল নেতারা দুঃসাহসের সব সীমা পার করে ফেলেছে বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চায়নি সন্দেশখালির অপরাধী গ্রেফতার হোক। কিন্তু বাংলার নারীশক্তি দুর্গা রূপে রুখে দাঁড়ানোয় এবং বিজেপির নেতারা তাদের পাশে থাকায় রাজ্য সরকার মাথা ঝোঁকাতে বাধ্য হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আরও সংযোজন, ‘‘এখন মা মাটি-মানুষ তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে। সন্দেশখালির বোনেরা ইনসাফ চাইছে, তৃণমূল সরকার কর্ণপাতও করেনি। বাংলার এমন অবস্থা যে, পুলিশ নয়, এখানে অপরাধী ঠিক করে সে কবে আত্মসমর্পণ করবে, কখন তাকে গ্রেফতার করা হবে।’’
টিএমসি সরকার কেলেঙ্কারির মাস্টার
রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিতে বাধা দিচ্ছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, কেন্দ্রের সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য, নারী বিকাশের মতো একাধিক প্রকল্প আটকে রেখেছে রাজ্য সরকার। ঘরে ঘরে জল প্রকল্পেও তোলাবাজি চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ মোদির (PM Modi)। রাজ্যে ২৫ লক্ষ ভুয়ো মনরেগা কার্ড তৈরি হয়েছে। যার কোনও অস্তিত্ব নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার টিএমসি সরকারকে কেলেঙ্কারির মাস্টার বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের যেতে বলেন প্রধানমন্ত্রী
মোদির ভাষণে এদিন উঠে আসে রেশন কেলেঙ্কারির কথাও। তিনি বলেন, ‘‘এরা গরিবদের রেশন লুট করতেও পিছপা হয় না।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিজেপি সরকার মানুষের জন্য কাজ করে, এটা মোদির গ্যারান্টি। বিজেপি কর্মীদের আগামী কয়েকদিনের কর্মসূচিও ঠিক করে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বিজেপি কর্মীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে আগামী ১০০ দিন ধরে বলতে বলেন, মোদিজী এসেছিলেন আপনাদের প্রণাম জানিয়েছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours