মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৯১ সালের উপাসনা স্থল আইনকে (Places Worship Act) চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যেসব আবেদন জমা করা হয়েছিল, সেই আবেদন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে (Constitution Bench) পাঠানো যেতে পারে। শুক্রবার একথা জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ওই আইনে বলা হয়েছিল, স্বাধীনতার পরে যেসব ধর্মীয় স্থানের চরিত্র যা ছিল, তাই থাকবে। যার জেরে ওই আইনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যেত না। এবার সেই আইন সংক্রান্ত আবেদনের বিচার হবে দেশের শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চে। এদিন আদালতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর কাছে ১৯৯১ সালের ওই আইনের বৈধতা সংক্রান্ত বিভিন্ন জনস্বার্থ রক্ষা আবেদনের জবাবও চাইল আদালত।
বারাণসীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরায় যে দুটি উপাসনা স্থল মসজিদ ছিল বলে দাবি করা হয়, সেগুলির ওপর আলোকপাত করতে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যসভার সদস্য সুব্রহ্মণিয়ম স্বামী। সুপ্রিম কোর্টে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক অশ্বিনী উপাধ্যায়।
আরও পড়ুন : শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
এদিকে, জামায়েত উলেমা-ই-হিন্দের তরফে এদিন আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ইজাজ মকবুল। তিনি বলেন, অযোধ্যার রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলায় ১৯৯১ সালের আইনের রেফারেন্স দেওয়া হয়েছিল। এখন এটা সরিয়ে রাখা যায় না। এদিন অশ্বিনীর হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। তিনি বলেন, এই মামলার বিচার করতে গিয়ে যে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে, তা কেবল রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এটা কোনও যুক্তি নয়। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনর পরে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত বলেন, এই সংক্রান্ত মামলার পাঠানো যেতে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে। তিন বিচারপতির বেঞ্চেও হতে পারে শুনানি।
আদালত জানায়, এই মামলার অগ্রগতি নিয়ে প্রচুর আবেদনপত্র জমা পড়েছে। আমরা সব আবেদন গ্রহণ করেছি এবং আবেদনকারীকে মামলায় অংশ নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছি। প্রত্যকেকে বলা হয়েছে আবেদনপত্র যেন পাঁচ পাতার বেশি না হয়। তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ অক্টোবর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours