মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ড গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার দায়ের হল মামলা। মামলা দায়ের হয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। মামলাকারীদের বক্তব্য, “গোটা সন্দেশখালি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রাখা হয়েছে। আমাদের জমি জবর দখল করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা চূড়ান্ত বিঘ্নিত হয়েছে সন্দেশখালিতে। একটা দ্বীপে মানুষগুলো আটকে রয়েছে। মামলাটুকু দায়ের করার জন্য আসতে হলেও, হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।”
শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা
আইনজীবীদের যাতে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। এদিকে, এদিন সন্দেশখালি (Calcutta High Court) যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যরা।
সন্দেশখালি গেলেন রাজ্যপাল
এদিন সন্দেশখালির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরার কড়া শাস্তির দাবিও জানান তাঁরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। এরপর মহিলারা তাঁর হাতে পরিয়ে দেন রাখি। এদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন (Calcutta High Court) রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও।
আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অরাজকতা রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট, তোপ স্মৃতি ইরানির
রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ানোয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ইডির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাহিনী। তাদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই কর্তা। জখম হন তাঁদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় তৃণমূলের তাজা নেতা শাহজাহান। শাহজাহান পগার পার হতেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। এলাকায় শাহজাহানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। উত্তমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও নাগাল মেলেনি শাহজাহান ও শিবুর। শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্রে খবর (Calcutta High Court)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours