Anganwadi Center: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ, বাদ যাচ্ছে না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও!

দুষ্কৃতীদের দাপটে চরম সমস্যায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী-সহায়িকারা
Anganwadi_Center
Anganwadi_Center

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা! তাদের তাণ্ডবে কার্যত অতিষ্ঠ দাসপুরের খাটবাড়ই এলাকার মানুষ। দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব থেকে বাদ যাচ্ছে না এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। তাই স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। একইসঙ্গে মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে।

কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা (Anganwadi Center)?

এলাকার ভুক্তভোগী মানুষজন জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। রাত বাড়লে দুষ্কৃতীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খাটবাড়ই এলাকায় তারা দাপিয়ে বেড়ায়। বাড়ে মদ্যপদের দাপাদাপি। এমনকী রেহাই পায় না শিশুদের জন্য তৈরি এলাকার আইসিডিএস কেন্দ্রও (Anganwadi Center)। গত বুধবার রাতে তাণ্ডব কার্যত চরমে ওঠে। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় আইসিডিএস কেন্দ্রের চেম্বার। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জানা গিয়েছে, দাসপুরের প্রত্যন্ত এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা করে প্রায় ৬০ জন শিশু। প্রায় ৪০ জন গর্ভবতী মহিলার পুষ্টিকর খাদ্যেরও সরবরাহ করা হয় এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই। কিন্তু সেখানেই দুষ্কৃতীদের দাপটে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী থেকে সহায়িকাদের।

কী বলছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মীরা?

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কাবেরী সিংহরায়ের অভিযোগ, এর আগে পানীয় জলের ট্যাপের মুখ খুলে নিয়ে চম্পট দিত দুষ্কৃতীরা। পরে তারা ভেঙে ফেলে আস্ত কল। ফলে এখন পানীয় জলের বন্দোবস্ত করতে হয় বাইরে থেকেই। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আবর্জনা ফেলার জন্য দিন কয়েক আগে তৈরি করা হয়েছিল চেম্বার। এবার সেই চেম্বারটিকেও ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমন কাণ্ডে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের (Anganwadi Center) কর্মী থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে। উল্লেখ্য, অতীতেও এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও কেন টনক নড়েনি প্রশাসনের? সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। কেন এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখা হবে বলেই জানাচ্ছেন দাসপুর এক পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এতকিছুর পরেও আদৌ কি এলাকায় কমানো যাবে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব? বাগে আনা যাবে মদ্যপদের? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles