Tmc Leader: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দলীয় নেত্রীকে ঘিরে কেন বিক্ষোভ তৃণমূলের?

পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এনিয়ে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহকে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে ক্ষোভ জানালেন তৃণমূল কর্মীরা।
TMC_DIDI
TMC_DIDI

মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েতে প্রার্থী ঠিক করতেও কাটমানি! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান জাহিদুল শেখের বিরুদ্ধে। তিনি আদতে ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়ত প্রধানের স্বামী। আর স্থানীয় এই তৃণমূল নেতাকে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা ইংরেজবাজার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রতিভা সিংহের বিরুদ্ধে। ফলে, দলীয় নেতাদের এই আচরণে শাসক দলের একাংশ বহুদিন ধরেই ক্ষোভ ফুঁসছিলেন। ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় ব্লক সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে বাঁচতে দলীয় নেত্রী ও তাঁর অনুগামীদের রীতিমতো কসরত করতে হয়। আর এই ঘটনায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই শাসক দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে তৃণমূল কর্মীরা কেন বিক্ষোভ দেখালেন?

ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহিলা। তাঁর স্বামী জাহিদুলই বকলমে পঞ্চায়েত চালান বলে দলের একাংশের অভিযোগ। শুধু পঞ্চায়েত পরিচালনা নয়, আর্থিক সিদ্ধান্ত নিজের মতো করে নেন তিনি। দলের গ্রাম পঞ্চায়ত সদস্যদের তিনি পাত্তা পর্যন্ত দেন না। ফলে, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশাপাশি দলের একটি বড় অংশ তাঁর আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। দলীয় নেতৃত্বের কাছে তাঁর নামে দরবার করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দলীয় কর্মীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছিল। বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, জাহিদুল পঞ্চায়েতকে ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। এখন দল একে অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান করেছেন। সেই পদ ভাঙিয়ে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করার টোপ দিয়ে তিন-চার লক্ষ টাকা করে তুলছেন। দলীয় সভানেত্রী দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে আসতেই দলীয় কর্মীদের একাংশ নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। দলীয় ঝান্ডা হাতে নিয়ে দলীয় নেত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ বলেন, দলের অন্দরে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে। আর যার বিরুদ্ধে এত দুর্নীতির অভিযোগ সেই জাহিদুল শেখ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ তুলে আদালত পর্যন্ত ওরা গিয়েছিল। জেলা প্রশাসনও সমস্ত বিষয়টি জানে। কিন্তু, অভিযোগ প্রমাণিত হয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles