Partha Chatterjee: “আমি ন্যায় বিচার চাই…”, পার্থর জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত

Partha Chatterjee: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৭ জনেরই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
partha
partha

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মিলল না জামিন। গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ মাস হয়ে গেল তবু জামিন নেই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদন ফের খারিজ হয়ে গেল। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এদিন পার্থ-সহ বাকি অভিযুক্তদেরও পেশ করা হয়। তাঁদেরও আগামী ১০ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে দিল আদালত।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা পার্থর (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সরাসরি অভিযোগ এনেছে সিবিআই। চলতি বছর ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এদিন জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে ফের পিএমএলএ আদালতে (PMLA Court) পেশ করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জামিনের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু দুপক্ষের কথা শুনে আদালত ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

আদালতে সওয়াল-জবাব

পার্থর (Partha Chatterjee) হয়ে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী সেলিম রহমান। জামিনের আবেদন করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সওয়াল করেন, পার্থবাবু কখনও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেননি। কমিটি তাঁকে কখনও কোনও রিপোর্ট দেয়নি। তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রে সামিল হলেন কী করে? তিনি বলেন, “নিয়োগে গঠিত উপদেষ্টা কমিটি যদি কিছু করে থাকে তাতে আমার মক্কেলের কোনও ভূমিকা নেই। চার্জশিটের পর কী করে আবার তদন্ত করার কথা বলতে পারে? এটা তো আইনবিরুদ্ধ। এই কথা রোজ বলে একজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখা যায় না। আমার মক্কেল কোথাও যাবেন না। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।”

আরও পড়ুন: কলেজের অনুমোদন দিতে পার্থ-মানিক নিতেন কত টাকা জানেন? কী বলল ইডি?

আর এর উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের রহস্যভেদ করতে পার্থর মত প্রভাবশালীদের জেলে রাখা দরকার। নইলে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। প্রত্যেকে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। যেন একটা চেনের মাধ্যমে যুক্ত। অভিযুক্তরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা তাঁদের ফের জেল হেফাজতে চাইছি।”

এর পর আদালত কক্ষে উঠে দাঁড়িয়ে পার্থবাবুও মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাকে বলে আমি জানতে চাই। এখানে সামাজিকভাবে আমার চরিত্র হননের কাজ চলছে।  এভাবে একজনকে জেলে আটকে রাখলে ভবিষ্যতে কেউ মন্ত্রী বা জনপ্রতিনিধি হতে চাইবে না। আমি মন্ত্রী, প্রতিদিন এক কথা শুনতে শুনতে কান ঝালাফালা হয়ে যাচ্ছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

বাকি অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন খারিজ

পার্থর পাশাপাশি এদিন আদালতে তোলা হয় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহাদের। এর পর দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। বিকেল ৪টে নাগাদ ১০ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত ঘোষণা করেন বিচারক। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ সহ ৭ জনকেই ২২ ডিসেম্বর অবধি জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles