Suvendu Adhikari: বন্যায় ভেঙেছে বাড়ি, বেতন থেকে দুর্গতকে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দিলেন শুভেন্দু

Panskura Flood: পাঁশকুড়ায় বন্যা দুর্গত পরিবারকে কথা দিয়ে কথা রাখলেন শুভেন্দু...
Suvendu_Adhikari_(12)
Suvendu_Adhikari_(12)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় বন্যা দুর্গত পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কিন্তু, এভাবে তিনি যে কথা রাখবেন তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া (Panskura Flood) ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা। কথা দিয়েছিলেন তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেই কথা রাখলেন শুভেন্দু। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই সাহায্য পৌঁছে গেল ভাঙা বাড়ির মালিকের কাছে।

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Suvendu Adhikari)

টানা বৃষ্টি এবং ব্যারেজের জল ছাড়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা বানভাসি। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান সবচেয়ে বেশি প্লাবিত। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ঘাটালে বন্যার্তদের ভয়াবহ ছবি। একটু খাবার-ত্রিপলের জন্য হাহাকার করতে দেখা যায় তাঁদের। ২০ সেপ্টেম্বর প্লাবিত পাঁশকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জড়ন্দায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁকে (Suvendu Adhikari) সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গণেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী। বলতে থাকেন কীভাবে নিমেশের মধ্যে তাঁর দোতলা বাড়ি-ঘর সর্বস্ব জলে ভেঙে গিয়েছে। সেদিন আশ্রয়হীন দুর্গতের গামছা দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সামনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে জানিয়েছিলাম। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যান। বাঁধ মেরামত করেননি। সেদিন শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, "আমি সরকার নই। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫ লক্ষ টাকা দেব।” তিনি আরও বলেন, "মেদিনীপুরের লোক মানেই আমার আত্মীয়। আমি সরকারের কেউ নই। তবুও বন্যার্তদের জন্য যতটুকু পারব করব।”

আরও পড়ুন: তিরুপতির লাড্ডুর ঘি কীভাবে তৈরি হত? জানতে উচ্চপর্যায়ের সিট গঠন চন্দ্রবাবুর

শুভেন্দুর দেওয়া চেক পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন দুর্গত

রবিবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রতিশ্রুতি মতো সেই টাকা দিয়ে যান শুভেন্দুর টিমের সদস্যরা। তাঁর মাসিক বেতন থেকে এই টাকা শুভেন্দু দিয়েছেন বন্যাদুর্গতদের। পাঁচ লক্ষ টাকার চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়লেন গণেশবাবু। সেদিন কেঁদেছিলেন আশ্রয় হারিয়ে, এদিন কাঁদলেন অন্ধকারের মধ্যে আশার আলো দেখে। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানালেন শুভেন্দু অধিকারীকে। এই ঋণ তিনি কোনওদিন শোধ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles