মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের একটি বুথে শনিবার ভোটাধিকার (Panchayat election 2023) প্রয়োগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খুন, জখম, ভোট লুঠ, শাসকের অবাধ ছাপ্পার ছবি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সম্প্রচারিত হওয়া সত্ত্বে ঠুঁটো হয়ে বসেছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। তার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই বলেছিলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে তালা ঝোলাবেন তিনি।
হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
তাঁর ওই হুঁশিয়ারির ঘণ্টা চারেক পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার প্রতিবাদে কমিশনের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে যান শুভেন্দু। তারপরেই দেন তালা ঝুলিয়ে। তিনি বলেন, “গোটা পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মানুষ আজ ভোট (Panchayat election 2023) দিতে পারেননি। এই ভোটগুলো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যবস্থাপনায় রাজীব সিনহার উদ্যোগে লুঠ হয়ে গিয়েছে। আমার এই নিয়ে চারবার আসা হল। আমাদের ইলেকশন কো-অর্ডিনেটর শিশির বাজোরিয়ার ১০ বার আসা হল। বারে বারে প্রতিবাদ করেছেন সবাই। এই নির্বাচনের যে সব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তা দেখিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টির। তাই আমরা সারাদিন মাঠে-ময়দানে লড়াই করেছি।”
শুভেন্দুর দাবি
তিনি বলেন, “সাংবিধানিক বডির কাছে আমাদের আসতে হয়েছে। মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ ছিল, সিসিটিভি মনিটরিং করতে হবে। রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রস্তাব দিচ্ছি। সিসি ক্যামেরায় যদি ছাপ্পা (Panchayat election 2023) হয়েছে দেখা যায়, তবে ফের ভোট করতে হবে। যেখানে সিসি ক্যামেরা দেখা গিয়েছে গতকাল (শুক্রবার) ব্যালটে ছাপ মারা হয়েছে, সেই প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। যখন ব্যালট বাক্স সিল করা হচ্ছে, তখন বিজেপি প্রার্থীকে রাখা হয়নি, এমন ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে আবার ভোট করাতে হবে।” এদিন শুভেন্দুর তালা ঝোলানোর পরপরই অবশ্য তালা খুলে ফেলে পুলিশ।
আরও পড়ুুন: হানাহানির ভোটে শীর্ষে মুর্শিদাবাদ, দ্বিতীয় কোচবিহার! ভোটের দিন খুন ১৫
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours