মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে ভারতের (India) এক প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। গত বছর মার্চের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে দ্বীপরাষ্ট্র। তার পর থেকে এ পর্যন্ত ছন্দে ফিরতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার পর এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানেরও (Pakistan Economic Crisis)। ইতিমধ্যেই সাহায্যের জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আবেদন করেছে ইসলামাবাদ। এখনও সাহায্য মেলেনি। তাই ক্রমেই হাঁড়ির হাল হচ্ছে পাক অর্থনীতির।
হাইব্রিড সিস্টেম...
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পাকিস্তানের এই আর্থিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী হাইব্রিড সিস্টেম। যে সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইএসআইয়ের (ISI) ডিরেক্টর জেনারেল সুজা পাশা। ২০১০ সালে তিনি এই সিস্টেম চালু করেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে অশান্তি জিইয়ে রাখতে। যদিও পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) সিংহভাগ বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদদের মতে, ২০১৮ সালের অগাস্টে এক্সপেরিমেন্ট করা হয়েছিল হাইব্রিড সিস্টেম প্রজেক্ট ইমরান। সেজন্য ব্যবহার করা হয়েছিল সমস্ত অবৈধ সম্পদ। তার জেরে ব্যর্থ হয়েছিল বিলিয়ন বিলিয়ন লগ্নি। এসবের প্রভাবও পড়েছিল ইমরান সরকারের জমানায়। পাক অর্থনীতিবিদ খুররম হুসেনের মতে, পাকিস্তানের এই সংকট কাটাতে প্রয়োজন বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য। এজন্য রাজনৈতিক মূল্য চোকাতে হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন ক্ষমতায় আসার আগে শাহবাজ শরিফ একাধিকবার দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মিফতা ইসমাইলের সঙ্গে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের শর্ত মেনে শাহবাজ যখন অর্থনৈতিক সংস্কার করতে শুরু করলেন, তখন দলেই শুরু হয় অশান্তি। দলীয় নেতাদের অনেকেই লন্ডনে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দরবার করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুুন: ইস্তেহার প্রকাশ তৃণমূলের, ভোট কিনতে বাংলার মতো টাকার টোপ মেঘালয়েও!
পাকিস্তানের (Pakistan Economic Crisis) বর্তমান অর্থমন্ত্রী ইশাক দার লন্ডনে শরিফকে জানান অর্থমন্ত্রী মতিফ ইসমাইল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারছেন না। এর পরেই মতিফকে সরিয়ে অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয় দারকে। তার পরেও বদলায়নি পাক অর্থনীতির হাল। পাকিস্তানের অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই ভেঙে পড়েছে পাক অর্থনীতি। কী ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, কী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কেউই সংস্কারের রাস্তায় হাঁটেননি। সেই কারণেই লাগামছাড়া হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি। সরকারের ভুল নীতির জন্যই দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারও তলানিতে। মড়ার ওপর ঘাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে চিনা ঋণের ফাঁদ। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই গাড্ডায় পাক অর্থনীতির রথের চাকা। পাক সরকার এই ক্রাইসিস কীভাবে সামাল দেয়, এখন তাই দেখার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours