Lashkar-e-Taiba: করাচিতে গুলিতে নিকেশ কাশ্মীর হামলার মাথা, ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রীর শরীরে বিষক্রিয়া

পাকিস্তানে জঙ্গিদের ওপর অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী হামলা চলছেই...
Untitled_design(366)
Untitled_design(366)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরে বিএসএফের উপর হওয়া হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল হানজলা আদনান। লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) এই জঙ্গিকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা পাকিস্তানের করাচিতে হত্যা করেছে। প্রসঙ্গত, নিহত লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি হানজাল আদনান ছিল হাফিজ সইদের অন্যতম সহযোগী। মুম্বইয়ে ২৬/১১ জঙ্গি হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ছিল হাফিজ। অন্যদিকে মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী সন্ত্রাসবাদী সাজিদ মীর পাকিস্তানের জেলেই বিষক্রিয়ার শিকার বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

বাড়ির সামনেই গুলি চালায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজরা

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, হানজাল আদনানকে বাড়ির বাইরেই গুলি করে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজরা। গুলি চালনার ঘটনা ঘটে ২ এবং ৩ ডিসেম্বরের মধ্যরাত্রে। সামনে থেকে আদনানকে চারটে গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। গোপন ভাবে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) এই জঙ্গিকে করাচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও জঙ্গিকে বাঁচাতে পারেনি পাক সেনা। ৫ ডিসেম্বরই মৃত্যু হয় আদনানের। ২০১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীরের (Lashkar-e-Taiba) উধমপুরে বিএসএফের কনভয়ের উপর যে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে ২ জন সেনা জওয়ান নিহত হন এবং ১৩ জন আহত হন। পরবর্তীকালে এনআইএ এই হামলার তদন্তভার গ্রহণ করে, পরবর্তীকালে উঠে আসে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে হানজলা আদনানের নাম।

২৬/১১-এর অন্যতম ষড়যন্ত্রী সাজিদ মীর বিষক্রিয়ার শিকার পাকিস্তানের জেলে

অন্যদিকে, পাকিস্তানের জেলে বিষক্রিয়া করা হয়েছে মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী সাজিদ মীরকে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই সন্ত্রাসবাদীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাজিদের জীবনহানির আশঙ্কাতেই তাকে এক জেল থেকে আর একজেলে পাঠানোর বন্দোবস্ত করছিল পাকিস্তান সরকার। গত বছরই সাজিদ মীরকে সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিং করার জন্য ৮ বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত করে পাকিস্তানের আদালত। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য এফবিআই এই জঙ্গির মাথার দাম আগেই স্থির করে ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রসঙ্ঘে এ নিয়ে প্রস্তাবও পেশ করে ভারত এবং আমেরিকা যৌথভাবে। তখনই সাজিদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়। চাপে পড়ে তাকে গ্রেফতার করে পাক সরকার। আবার কোনও কোনও মহল থেকে এটাও মনে করা হচ্ছে যে পাকিস্তানি সেনা জেলের বদলে সাজিদকে হাসপাতালে রেখে বিশেষ সুবিধা দিতে চাইছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles