মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের নির্দেশে দুর্গাপুজো কার্নিভাল (Raiganj Carnival Cow Attack) হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। আর তার থেকে পিছিয়ে নেই রায়গঞ্জও৷ আর এই কার্নিভালকে ঘিরেই সৃষ্টি হয় ভয়াবহ পরিস্থিতির। কার্নিভালে গরুর গুঁতোয় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির৷ গরু শান্ত স্বভাবের প্রাণী হলেও ক্ষেপে গেলে কী তাণ্ডব ঘটাতে পারে, তার প্রত্যক্ষদর্শী থাকল পুরো রায়গঞ্জবাসী।
জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজা কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) একটি পুজো কমিটি গরুর গাড়িতে করে প্রতিমা নিয়ে প্রদর্শন করছিল৷ আর সেই সময়ে গরুগুলি দড়ি ছিঁড়ে প্রতিমা ফেলে বেড়িয়ে আসে৷ শুধু তারা দড়ি ছিঁড়ে বেরিয়ে যায়নি, আশেপাশের মানুষদের গুঁতিয়ে দেয়। ফলে গরু সিং দিয়ে গুঁতো মেরে আহত করে একাধিক ব্যক্তিকে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মৃত ব্যক্তির নাম সাধন কর্মকার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের একটি সিনেমা হলের কাছে। জলপাইগুড়ির মাল বাজারে প্রতিমা বিসর্জনের দিন মর্মান্তিক ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রায়গঞ্জে এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ শহর জুড়ে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে দুর্গা বিসর্জনে গিয়ে হড়পা বানে মৃত অন্তত ৮, ঠিক কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রায়গঞ্জের ভারত সেবক সমাজ ক্লাবের সভাপতি সাধন কর্মকার। সেদিন কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) মোট ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের তড়িঘড়ি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দাবি, আহত হয়েছেন ৮ জন। আহতদের বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। যদিও তিন জন এখনও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি। দুই থেকে তিনজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন হাসপাতালে। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন সাধন কর্মকার। এরপর গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ষাট বছর।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ শহরের অনুশীলনী ক্লাব গরুর গাড়িতে প্রতিমা সাজিয়ে কার্নিভালে (Raiganj Carnival Cow Attack) অংশগ্রহণ করেছিল। প্রথমদিকে সবকিছু ঠিক থাকলেও পরবর্তী সময়ে মানুষের ভিড়, বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ ও লাইটের প্রভাবে দুটি গরু দড়ি ছিঁড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গিয়েছে। এরপর প্রতিমা উল্টে দিয়ে গরু দুটি এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করে। জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ও রায়গঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যান। পুরসভার প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাসও যান হাসপাতালে। আহতদের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।
+ There are no comments
Add yours