মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল করুণাময়ী। অনশন আন্দোলনের (TET Agitation) মাঝেই চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে করুণাময়ীতে আন্দোলনকারীদের তুলে দিল পুলিশ। ৬১ ঘণ্টার অনশন ভেঙে দিল ১৫ মিনিটেই! প্রতিবাদে সরব আন্দোলনকারীরা। তিনটি বাসে ঠাসাঠাসি করে তোলা হল চাকরিপ্রার্থীদের। আটক করে নিয়ে যাওয়া হল থানায়। প্রায় ছয় ঘণ্টার বাক্য বিনিময়। তারপর অবশেষে জোর করে অনশন আন্দোলন ভেঙে দিল পুলিশ। পাঁজাকোলা করে যখন পুলিশ ভ্যানে তোলা হচ্ছিল চাকরিপ্রার্থীদের। আর সেই সময়ই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন বলেন, "মেয়েদেরকে মেরেছে, এটা অমানবিক আজ থেকে আমরা প্রতিজ্ঞা করলাম, এই সরকারকে আর একটাও ভোট দেব না।" অন্য আরেকজন অভিযোগ করেন, "পুলিশ নাকে ঘুষি মেরেছে।" অপরজন বলেন, "এই সরকারের সব কাজ রাতের অন্ধকারে হয়। রাত্রে প্রার্থীদের তোলা হয়। রাত্রে রেজাল্ট বের করা হয়। রাত্রে নিয়োগ হয়।" আন্দোলনকারীদের মধ্যে তিনজন নিখোঁজ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে এদিন। এক মহিলা টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বলেন, “অচিন্ত্য ধারা, অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ, এই তিন জনের কোনও ট্রেস আমরা পাচ্ছি না। এই তিন জনের গায়ে যদি একটাও আঁচড় লাগে, কলকাতার রাজপথে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এখানে চাকরিপ্রার্থীদের লাশ দেখবেন।” এক আন্দোলনকারীর আক্ষেপ, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী একজন মহিলা৷ তাঁর নির্দেশ ছাড়া এসব হয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী এতটা নির্মম হবেন, ভাবতে পারিনি৷" আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী, জোর করে টেট উত্তীর্ণদের তুলল পুলিশ
ভোররাতে আটক চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ বাসে করে এনে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেয়। তবে এত কিছুর পরেও আজ ভোরেই ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের একাংশ শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ফিরে যান ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান মঞ্চে। আন্দোলনকারী মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পুলিশ কীভাবে মহিলা আন্দোলনকারীদের ভোররাতে শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন চত্বরে ছেড়ে দিল? তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?"
WB's current situation is alarming.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 20, 2022
Mamata Police applying brute force on agitating candidates of Teacher Eligibility Test 2014 candidates at Salt Lake to forcefully end their legitimate sit-in demonstration near the State Primary Education Board Office.
WB or Hitler's Germany? pic.twitter.com/D0Ry9x3hnc
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে লেখেন, "হিটলারের বাহিনীর মতো মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে আন্দোলনরত ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের তুলে দিয়েছে। যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের কাছে আইন মেনেই অবস্থান করছিলেন।"
In a hitleresque midnight crackdown, Mamata Banerjee used brute force to evict the agitating candidates of the Teacher Eligibility Test 2014, who were on a legitimate sit-in demonstration, near the State Primary Education Board Office.
— Amit Malviya (@amitmalviya) October 21, 2022
BJP Bengal will launch a massive protest…
+ There are no comments
Add yours