মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ খারাপ হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপদসীমার কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। প্রবল বিপর্যয়ে (Flood situation) বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একের পর এক ধসের জেরে উত্তর সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়েছেন বিপুল পরিমাণ পর্যটক। জানা গিয়েছে সিকিমে ১২০০ পর্যটক এখনও সেখানে আটকে রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। তা ছাড়া রয়েছেন ১৫ জন বিদেশি। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রংপোতে পর্যটকদের সহায়তার জন্য হেল্পডেস্ক চালু করা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
সিকিমের পরিস্থিতি (North Sikkim)
সিকিম (North Sikkim) আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে উত্তর সিকিমে প্রায় ২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনও বৃষ্টিপাতের একই পরিস্থিতি (Flood situation) থাকবে বলেই জানিয়েছে সিকিম হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে উত্তর সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছোট বড় ধস নেমেছে। আটকে বহু পর্যটক। পরিস্থিতি এমন যে, পর্যটনের জন্য বিখ্যাত লাচুংয়ের সঙ্গে গোটা রাজ্যেরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
চালু হেল্পডেস্ক
সিকিমে (North Sikkim) আটকে পড়া পর্যটকদের জন্য চালু করা হয়েছে হেল্পডেস্ক। সেখানে দুজন অফিসারের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। নম্বর দুটি হল—রবি বিশ্বকর্মা (৮৭৬৮০৯৫৮৮১) এবং পুষ্পজিৎ বর্মণ (৯০৫১৪৯৯০৯৬)। তবে আটকে থাকা পর্যটকদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। পর্যটকরা সুস্থ আছেন বলেই খবর।
আরও পড়ুন: সমাজমাধ্যম থেকে কেজরির ভিডিয়ো সরাতে বলে স্ত্রী সুনীতাকে নোটিশ দিল্লি হাইকোর্টের
বানভাসী পরিস্থিতি গোটা উত্তরবঙ্গে (Flood situation)
ইতিমধ্যেই এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ফুলে উঠেছে। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গে। তিস্তা পার সংলগ্ন নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিচু এলাকায় কিছু জায়গায় প্রশাসনের তরফে ত্রিপল খাটিয়ে স্থানীয়দের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে এমত অবস্থায় সিকিমের (North Sikkim) মুখ্যসচিব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। আটকে থাকা বিপুল পরিমানে পর্যটকদের বিমান পথে উদ্ধার করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে চলছে চিন্তাভাবনা। ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্সের কাছেও চাওয়া হয়েছে সাহায্য। তবে তিস্তায় সেতু তলিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকদের উদ্ধার করা আরও কঠিন হয় পড়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours