NEET Exam 2024: নিট-এ দেশের সেরা বাংলার রূপায়ণ- সক্ষম, দুজনেই এইমসে পড়তে চান

AIIMS: নিট-এ দেশের সেরাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের তিনজন, কারা তাঁরা?
NEET_Exam_2024
NEET_Exam_2024

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা নিট-এ (NEET Exam 2024) দেশের সেরাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের তিনজন। এরমধ্যে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের রূপায়ণ মণ্ডল এবং শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়াল। এছাড়া কলকাতার একজন রয়েছেন। তিনজনই ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বর পেয়েছেন। দেশের মধ্যে সেরা হওয়ায় পরিবারে খুশির হাওয়া।

ভালো সার্জেন হতে চান রূপায়ন (NEET Exam 2024)

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপায়ণের বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তিনি মাধ্যমিকে ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫ শতাংশ নম্বর পান। তিনি লালবাগ নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। যদিও মাধ্যমিকে ডন বস্কো স্কুল থেকে পড়াশুনা করেছেন। বাবা জ্যোতিকান্ত মণ্ডল পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি ছোট থেকেই ছেলেকে পড়াতেন। পড়াশুনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে তিনি ভালোবাসেন। মা রুবি বিশ্বাসও পেশায় শিক্ষিকা। তিনি বলেন, পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই 'নিট'-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেয়। সেখানে নিয়মিত মক টেস্ট সে দিত। পড়াশুনার পাশাপাশি এই প্রস্তুতি চালানো বেশ কঠিন ছিল। ছেলের এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। ও একজন ভালো সার্জেন হতে চায়।

সফলতা নিয়ে কী বার্তা দিলেন সক্ষম?

শিলিগুড়ির সক্ষম আগরওয়ালের পড়াশোনায় প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও পেশায় এক জন সফল চিকিৎসক হতে চান সক্ষম। 'নিট'-এ বহরমপুরের রূপায়নের মতো ৭২০ পেয়ে দেশের সেরা হয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি উপনগরীর বাসিন্দা। সক্ষমের বাবা চেতন আগরওয়াল পেশায় চিকিৎসক। অ্যানাস্থেসিস্ট হিসাবে তিনি একটি নার্সিংহোমে কাজ করছেন। সক্ষমের মা মায়া কুমারী গৃহবধূ। বিহারের মধুরপুরায় জন্ম সক্ষমের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় শিলিগুড়িতে চলে আসা। এখানে দাগাপুরে সিবিএসসি বোর্ডের একটি স্কুলে পড়াশোনা। একাদশ শ্রেণিতে নির্মাণ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে ভর্তি হন সক্ষম। স্কুলে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই 'নিট'-এর (NEET Exam 2024) প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেন তিনি। স্কুলের সঙ্গে দুই বছর কোচিংয়ের পড়ার তাল মেলানো কঠিন ছিল। সক্ষমের কথায়, "নতুন চ্যাপ্টার পড়ার সঙ্গে কিন্তু পুরনো পড়াগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। না হলে ভুলে গেলে পরিশ্রম মাটি হবে। তাই নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি।" খুব কঠিন হলে বাড়িতে ছয়-সাত ঘণ্টা পড়ার জন্য রাখতেন সক্ষম।

দিল্লির এইমস-এ সক্ষম পড়তে চান

প্রস্তুতির সময় গল্পের বইপড়া বা সিনেমা দেখে সময় নষ্ট করতে রাজি নন সক্ষম। তাই সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেকে সংযত করে রাখতেন। পড়ার ফাঁকে কখনও ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন বা টেবল টেনিস খেলতে ভালবাসেন তিনি। সক্ষমের সাফল্যে খুশি বাবা চেতন আগরওয়াল। তিনি বলেন, "চিকিৎসক হিসাবে একদিন মানুষের উপকার করবে সেটাই আশা করি।" দিল্লির এমস-এ সক্ষম পড়তে চান। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে ।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles