মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৫ বছর পরে ঘটা করে শারদ নবরাত্রি উৎসব পালন করা হচ্ছে কাশ্মীরের শারদা মন্দিরে (Sharda Temple)। দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত নিত্য দিন যোগ দিচ্ছেন উৎসবে। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মন্দির কর্তৃপক্ষ। খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও।
নবনির্মিত শারদা মন্দির
কাশ্মীরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই তৈরি হয়েছে নবনির্মিত শারদা মন্দির। অবিভক্ত ভারতবর্ষে শারদাপীঠে নিত্যপুজো হত। দেশ-বিদেশের লোকজন আসতেন এই সতীপীঠ দর্শনে। কহ্লনের ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থে এই পীঠের উল্লেখ রয়েছে। হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র এহেন একটি পীঠে পুজোপাঠ বন্ধ হয়ে যায় দেশভাগের পর। লোপাট হয়ে যায় মন্দিরের বিগ্রহ। পরে অশান্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। দলে দলে হিন্দু পণ্ডিতরা উপত্যকা ছাড়তে থাকেন। ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ইতিহাসখ্যাত এই মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ।
শারদ নবরাত্রির পুজোপাঠ
২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্যোগী হন শারদাপীঠ (Sharda Temple) পুনর্নির্মাণে। তার আগে কাশ্মীর থেকে রদ হয় ৩৭০ ধারা। ধীরে ধীরে ভূস্বর্গ ফিরে যেতে থাকে হিংসা-পর্বের আগের অধ্যায়ে। নতুন করে তৈরি করা হয় শারদা মন্দির। প্রতিষ্ঠা করা হয় বিগ্রহও। সেই মন্দিরেই চলছে শারদ নবরাত্রির পুজোপাঠ। মহালয়ার পর প্রতিপদ থেকে টানা ন’ দিন ধরে মহামায়ার ন’টি রূপের পুজো হয়। একেই বলা হয় নবরাত্রি উৎসব। এই উৎসবই এবার ঘটা করে পালন করা হচ্ছে শারদাপীঠে।
আরও পড়ুুন: নবদুর্গার দ্বিতীয় রূপ দেবী ব্রহ্মচারিণী, জানুন তাঁর পৌরাণিক আখ্যান
হাম্পির স্বামী গোবিন্দানন্দ সরস্বতী কর্নাটক থেকে এখানে এসে পৌঁছেছেন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদেরও কয়েকজন উপস্থিত হয়েছেন ভূস্বর্গের এই তীর্থে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন একে রায়না। পেশায় নাট্যকর্মী রায়না অভিনয় করেছিলেন ‘কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমায়ও।
‘সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীরে’র প্রধান রবীন্দর পণ্ডিত বলেন, “নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে দেশভাগের পর এই প্রথম হচ্ছে নবরাত্রি উৎসব পালন। এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ১৯৪৭ সালে হিংসার আগুন পুড়ে গিয়েছিল শারদা মন্দির (Sharda Temple) এবং একটি গুরুদ্বার। সেই একই জমিতে ফের গড়ে তোলা হয়েছে মন্দির এবং গুরুদ্বার। পুরানো মন্দির ও গুরুদ্বারের আদলেই তৈরি করা হয়েছে নতুনগুলি। চলতি বছর ২৩ মার্চ এই মন্দির ও গুরুদ্বারের উদ্বোধন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।”
মন্দিরে ফের ঘটা করে পুজোপাঠ হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। আজাজ খান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাইছিলাম। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য ফিরে আসার সাক্ষী হতে পেরেছি বলে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছি না।”
ভূস্বর্গে হাসি ফিরিয়ে আনলেন প্রধানমন্ত্রী মোদিই!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours