Navjot Singh Sidhu: সশ্রম কারাদণ্ডের একবছর জেলে কী কাজ করবেন নভজ্যোত সিং সিধু জানেন? 

Sidhu: জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছেন সিধু। সকাল ৯-১২টা এবং বিকেল ৩-৫ টার দুটি শিফটে কাজ করবেন তিনি। মাঝে ৩ ঘণ্টার বিরতি পাবেন...
Navjot_Singh_Sidhu_
Navjot_Singh_Sidhu_

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পথ-হিংসার মামলায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। গত ২০ মে পাতিয়ালার এক আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পাঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সশ্রম কারাদণ্ড মানেই হাজতবাসের সময়কালে শ্রম করতে হয় বন্দিকে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, সিধুকে জেলের দিনগুলিতে কী কাজ করতে হবে? সম্প্রতি জানা গিয়েছে জেলে কোন দায়িত্ব পেতে চলেছেন সিধু। জেলে থাকার এক বছর করণিকের কাজ করতে হবে এই নেতাকে। দিনপ্রতি ৪০ টাকা করে বেতন পাবেন তিনি।  
 
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করেছেন সিধু। সকাল ৯-১২টা এবং বিকেল ৩-৫টার দুটি শিফটে কাজ করবেন তিনি। মাঝে ৩ ঘণ্টার বিরতি পাবেন। পাতিয়ালা জেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে তিনমাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কয়েদিকে। প্রথম তিনিমাস কোনও টাকা দেওয়া হয় না।

তারপর ধীরে ধীরে অদক্ষ, কম দক্ষ এবং দক্ষ কয়েদি হিসেবে উন্নীত হয় তারা। ৩০- ৯০ টাকা দিনপ্রতি রোজগার হয়। জানা গিয়েছে, তিনমাসের ট্রেনিং- এর পর ৪০ টাকা করে দিনে বেতন পাবেন সিধু, যা সরাসরি তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।   

সিধুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাঁর জন্যে আলাদা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিধুকে কড়া নিরাপত্তার মোড়কে সোমবার পাতিয়ালার রাজেন্দ্র হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করায় জেল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তারদের মেডিক্যাল বোর্ড পরীক্ষা করে প্রাক্তন সাংসদের।        

এক অনেক পুরনো মামলায় সাজা হয় এই প্রাক্তন সাংসদের। ১৯৮৮ সালের ঘটনা। সেই বছর ২৭ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের রাস্তায় গুরনাম সিং নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা বাধে সিধুর। বচসা থেকে ক্রমশ তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। অভিযোগ, ওই ব্যক্তিকে গাড়ি থেকে বার করে মারধর করেন তিনি। তাতে মাথায় আঘাত পান ওই ব্যক্তি এবং তা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই মৃতের পরিবার সিধুর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করে।

১৯৯৯ সালে দায়রা আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়। ২০০২ সালে পাঞ্জাব সরকার সিধুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। এর মধ্যেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সিধু। ২০০৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে অমৃতসর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে হাইকোর্টের রায় আসে। হাইকোর্ট সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

এই রায়ের পরেই লোকসভা থেকে ইস্তফা দেন সিধু। ২০১৮ সালে সিধুর বিরুদ্ধে এই মামলায় ৩ বছরের সাজা কমিয়ে ১ হাজার টাকা জরিমানার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেই মামলাতেই পরে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট, জেল হয় সিধুর।  

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles