N 24 Parganas Rape: নরেন্দ্রপুরে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর

তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আগেই তাঁর নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার ঋণ নেয় হবু স্বামী।
rape-image
rape-image

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তরুণীকে নরেন্দ্রপুরে (N 24 Parganas Rape) এনে ধর্ষণ। অভিযুক্ত হবু স্বামী ও দেওর। নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকায় ওই তরুণীকে গতকাল বিবস্ত্র ও সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পলাতক দুই অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ থেকে এনে তাঁকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করে দুষ্কৃতিরা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে সিগারেটের ছেঁকাও দেয় তারা।

কী ঘটেছিল? 

তরুণীর অভিযোগ, বিয়ের আগেই তাঁর নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার ঋণ নেয় হবু স্বামী। সেই কারণেই খুনের চেষ্টা করে ওই দুই যুবক। মোট চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তরুণী। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তরুণীর নামে বিয়ের আগেই যে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। তার প্রতিবাদ করে ওই তরুণী (N 24 Parganas Rape)। সেই টাকা শোধ দিতে না পারাতেই এই হামলা। ইতিমধ্যে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ ও খুনের মতো গুরুতর অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা...

জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে হবু স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণ করা হয় ওই তরুণীকে। ধর্ষণ করে হবু স্বামী ও তার ভাই। সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে চলে অকথ্য অত্যাচার। তারপরে খুনের (N 24 Parganas Rape) চেষ্টাও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক প্রতারণার পরিকল্পনাতেই এমন কাজ। বিয়ের আগেই হবু স্ত্রীয়ের নামে বিভিন্ন জায়গা থেকে লক্ষাধিক টাকার লোন নিয়েছিলেন ওই অভিযুক্ত। সেই লক্ষাধিক টাকা গায়েব করার পরিকল্পনাতেই হবু স্ত্রীকেই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফাঁদ পাতে সে। হবু স্ত্রীকে মেরে ফেললে সেই ঋণ আর শোধ করতে হবে না এই ভেবে খুনের ছক কষে।

পুলিশের দাবি, নির্যাতিতার বাড়ি মুর্শিদাবাদ (N 24 Parganas Rape) জেলায়। তার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় সাবীর শেখ নামে এক যুবকের। ওই তরুণী পুলিশকে জানান, তাঁকে প্রথমে বাড়ি থেকে ডাকা হয় তারপর ঘুরতে যাওয়ার নাম করে ট্রেনে তুলে খাবারের মধ্যে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করা হয়। শিয়ালদহতে ট্রেন ঢোকার পর তার জ্ঞান ফিরলে আবার তাকে বেঁহুশ করা হয়। অচেতন অবস্থাতেই তাঁকে বার বার ধর্ষণ করেছেন হবু স্বামী সাবীর ও তাঁর ভাই। সে মারা গিয়েছে ভেবে বেঁহুশ ও নগ্ন অবস্থায় নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার নতুনহাটে রাস্তার পাশে তাঁকে ফেলে পালায় অভিযুক্তরা। স্থানীয় বাসিন্দারা তরুনীকে উদ্ধার করে।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles