Murshidabad: বাংলা-হিন্দি-ইংরেজি ভাষায় ৮০টি কবিতা বলে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির কন্যা

India Book of Records: মুর্শিদবাদে ক্ষুদে কন্যার ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম…
Murshidabad
Murshidabad

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র দুইবছর ১১ মাস বয়সে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলল কান্দির (Murshidabad) শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের কন্যা শিশু ঋতু সরকার। ওই কন্যা শিশু অতি অল্প সময়ে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষার ৮০টি কবিতা বলতে পারে। এছাড়াও ৮০টি সাধারণ জ্ঞানের উত্তর সহ ৩০ ধরনের শাক-সবজী, ৩৫ ধরনের ফলের নাম বলতে-লিখতে পারে। এছাড়াও ৪০ ধরনেরর গাড়ির নাম, ৪৫টি ফুলের নাম, ৩৬টি পশু ও ৩০টি পাখীর নাম সহ বিভিন্ন বিষয়ে বলতে-লিখতে পারদর্শিনী এই কন্যা।

পরিবারের বক্তব্য (Murshidabad)

মঙ্গলবার, ডাকযোগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস থেকে তার বাড়িতে (Murshidabad) শংসাপত্র এসে পৌঁছায়। এরপর পরিবারে খুশি নেমে আসে। কন্যার বাবা রাজু সরকার কাশ্মীরে বিএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত। কন্যার মা মধুশ্রী মোদক সরকার বলেন, “মেয়ের বয়স প্রায় তিন বছর। ওর পারদর্শিতাই আমরা চরম খুশি। আগামীতে আরও বড় কিছু করে দেখানোর জন্য মেয়েকে সেভাবেই তৈরি করছি আমরা। আমার মেয়ের এই পারদর্শিতার নমুনা ভিডিও করে বেশ কিছুদিন আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে পাঠিয়ে ছিলাম। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে মেয়ের নাম ওঠায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।” এই বিষয়টি জানাজানি হতেই ঋতুদের পরিবারসহ গোটা এলাকায় নেমেছে খুশির হাওয়া।

আরও পড়ুনঃ মালদায় বারোমাসি কাটিমন আম চাষ করে দিশা দেখাচ্ছেন রাজীব রাজবংশী

জিনিস ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি কন্যার

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ছোট্ট কন্যার পিছনে সব সময় খেলার ছলে ঘুমাবার আগে নিয়মিতভাবে তাকে শিখাতে হতো। এমনিতেই বাচ্চারা পড়াশুনা করতে চায় না, তার উপরে প্রতিটি বাচ্চার মোবাইল দেখার একটা প্রবণতা আছে আর সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে যেমন খেলার সময় নিয়ে খেলা করতে করতে, পিছন পিছন ঘুরে ঘুরে তাকে সমস্ত ফল-ফুল, পাখি-জীবজন্তুর নাম ঠিকানা সমস্ত কিছু শেখানো হয়েছে। প্রসঙ্গে মা মধুশ্রী মোদক সরকার বলেন, “একটা বিষয়ে লক্ষ্য রাখতাম মেয়ের যে কোনও জিনিস ধরে রাখার ক্ষমতা অনেক বেশি এবং সেগুলি আয়ত্তে আনতে তার বেশি সময় লাগত না।” ঋতুর বাবা বর্তমানে কাশ্মীরে কর্মরত আছেন বিএসএফ সৈনিক হিসেবে। তিনি বছরে একবার বাড়িতে (Murshidabad) আসেন কিন্তু মেয়ের ব্যাপারে সবসময় কথা বলেন এবং তিনি যেকোনও ব্যাপারে উৎসাহ দান করে থাকেন। আগামী দিনে যাতে মেয়ে পড়াশুনা-খেলায় আরও উন্নতি সাধন করতে পারে সে বিষয়ে তাকে এখন থেকেই পড়াশুনো এবং খেলা, এই দুই বিষয়ে অনুশীলনের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles