মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে পৌঁছল নিহত বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার দেহ (BJP Murder)। এদিন সকালে তমলুক হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ কলকাতায় নিয়ে যেতে পুলিশ গড়িমসি করে বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার। এনিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই বিবাদ শুরু হয় সুপার ও ওসির মধ্যে। নিহত বিজেপি নেতার ছেলে, প্রসেনজিত ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সকাল ৮টা থেকে তমলুক হাসপাতালে উপস্থিত থাকলেও পুলিশ দেহ (BJP Murder) নিয়ে যেতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ১ মে খুন হন বিজেপির বাকচার বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। ঘটনার তিন দিন পর পুলিশ আজই প্রথম গ্রেফতার করতে পারল এক অভিযুক্তকে। জানা গেছে, ধৃতের নাম মিলন ভৌমিক, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য। হত্যার (BJP Murder) পরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে খুনীদের আড়াল করার অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক দাবি করেন, খুনীরাই পুলিশের হাতে দেহ (BJP Murder) তুলে দিয়েছে। পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই বলে জানায় পরিবারও। ময়নাতদন্তে তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারে পুলিশ, এই আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুভেন্দু অধিকারী।
হাইকোর্টের নির্দেশ....
এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করানো হবে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। উচ্চ আদালত আরও জানায়, ময়নাতদন্ত করতে গঠন করা হবে একটি দল, যেখানে থাকবেন দুজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের একটি কপি জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট থানায় এবং অপর একটি কপি নিহতের পরিবারের হাতে তুলে দিতে হবে বলে জানায় হাইকোর্ট। অন্যদিকে ময়নাতে দেহ (BJP Murder) পৌঁছালে তা নিয়ে মিছিল করার কথা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অন্যদিকে, নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে আজ ময়নাতে আসছে কেন্দ্রীয় তফশিলি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।
পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours