মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরেই নবনির্বাচিত প্রধানের জামাইয়ের বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কে গোটা এলাকা। পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী এই বোমাবাজির সঙ্গে জড়িত। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের ফুলিয়ার ফুলিয়া পাড়ার। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের অভিযোগ, গতকাল ওই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হওয়ার পরে তাঁর শাশুড়ি বাসন্তী বসাক প্রধান নির্বাচিত হন। এর পরেই তাঁরা প্রত্যেকে বাড়ি চলে আসেন। অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে হঠাৎই তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছেড়ে দুষ্কৃতীরা। এর পরে তারা বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালায়। পরিবারের লোকজন বাইরে বেরিয়ে আসতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যদিও বেশ কয়েক ঘণ্টা বাদে বাড়ি লক্ষ্য করে শুরু হয় বোমাবাজি। সেখানেই শেষ নয়, পরপর দু থেকে তিনবার বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে। বিকট শব্দে আবার বাইরে বেরিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন। দেখেন, বোমা বিস্ফোরণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
আতঙ্কে ঘুম নেই পরিবারের
এর পরে শুরু হয় ব্যাপক আতঙ্ক। সারা রাত ঘুম নেই পরিবারের। গোটা এলাকায় আতঙ্কে সৃষ্টি হয়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, তদন্ত শুরু করে। নবনির্বাচিত প্রধানের জামাই মিঠুন বসাকের এও অভিযোগ, তাঁর শাশুড়ি প্রধান (Panchayat Board) নির্বাচিত হলেও তাঁরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কিন্তু তাঁদের বাড়িতে কেন এভাবে হামলা চালানো হল, পুলিশ এর পূর্ণ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। না হলে আগামী দিনে আরও বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
মুর্শিদাবাদে জোট প্রার্থীর স্বামীকে কোপানোর অভিযোগ
ঘটনার যেন শেষ নেই। পঞ্চায়েতে বোর্ড (Panchayat Board) গঠন হওয়ার পরে বাড়ি ফেরার সময় জোটের প্রার্থীর স্বামী সহ জোটের এক কর্মীকে রাস্তায় ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, মুর্শিদাবাদে রানিনগর থানার বেণীপুর শিমুলতলা এলাকায়। জানা যায়, রানিনগর ২ নম্বর ব্লকের মালি বাড়ি দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট পঞ্চায়েত সদস্য ১৭ জন। তার মধ্যে ১০টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। সাতটি আসনে জয়ী হয় বাম-কংগ্রেস জোট। ১০ জন নিয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। বোর্ড গঠন শেষে জোটের প্রার্থীরা বাড়ি ফেরার সময় এক মহিলা প্রার্থীর স্বামী সহ আরও এক জোটের কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। এই ঘটনায় দুজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রানিনগর গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাজনগর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours