মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবাসীদের ভাষা, বর্ণ, প্রদেশের মতভেদের মতো বিষয়কে দূর করে হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর তা করতে পারলেই দেশ বিশ্ববাসীর কাছে বিশ্বগুরুর আসন লাভ করবে। আমরা সব সময় বিভেদ নয়, একতার লক্ষ্যেই এগিয়ে যাব। রাষ্ট্রের জন্য নাগরিক সমাজকে কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। শনিবার রাজস্থানের বরান নগরে কৃষি উপজ মান্ডির একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সর সঙ্ঘ চালক মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) এই কথা বলেন। তিনি এখানে স্বয়ং সেবকদের উদ্দেশে বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতি সমর্পণ হতে হবে কর্তব্যবোধ দিয়ে। সমাজকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোই আমাদের কাজ।”
আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে (Mohan Bhagwat)
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বলেন, “সমগ্র হিন্দু সমাজকে (Hindu Society) ভাষা, বর্ণ, খাদ্য, পোশাক সহ প্রাদেশিক বিভিন্নতাকে সম্পূর্ণ ভাবে দূর করতে হবে। সমাজকে একত্রিত হওয়ার ভাবনায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সমাজ এমন হতে হবে যেখানে সংগঠন, সদিচ্ছা, অন্তরঙ্গতার মতো চর্চার পরিসর থাকবে। আচরণে শৃঙ্খলা আনতে হবে। রাষ্ট্রভক্তি মনে জাগ্রত করতে হবে। সমাজ কেবলমাত্র আমি বা আমার পরিবারের দ্বারা হবে না, সমাজের জন্য আমাদের সর্বাত্মক ভাবনা দিয়ে সকলের জন্য ঈশ্বর প্রাপ্তির কথা সব সময় মনে রাখতে হবে। ভারতে বসবাসকারী সকলেই হিন্দু জাতির অন্তর্ভুক্ত, সকলেই হিন্দু, সমাজের সকল সম্প্রদায়ের জন্য একটাই পরিচয়।”
আরও পড়ুনঃ সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অত্যন্ত স্বল্প দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সফল ভারত
সংঘের কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়
মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) আরও বলেন, “আরএসএস-এর কাজ যন্ত্রনির্ভর নয়। সমাজ-দেশ এবং রাষ্ট্রের জন্য চিন্তা, মনন এবং অনুভূতি দিয়ে মতামত গ্রহণ করে কাজ করতে হয়। বিশ্বের এমন কোনও বিষয় নেই যা সঙ্ঘের কাজের মধ্যে পড়ে না। সমাজ জীবনের মানুষের ব্যক্তিত্বের বিকাশে চরিত্র নির্মাণ করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ভাবেই সামাজিক চরিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রের পুনর্নির্মাণ হবে। আমাদের স্বয়ং সেবকরা এই সংকল্প নিয়েই প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে গিয়ে কাজ করে থাকেন।” এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থান প্রদেশের সঙ্ঘ চালক রমেশ আগরওয়াল, চিতোরের সঙ্ঘ চালক জগদীশ সিং রানা, বরান বিভাগের সঙ্ঘ চালক রমেশ চাঁদ সহ আরও প্রমুখ ব্যক্তি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours