Hindu Minority Status: দশ রাজ্যে হিন্দুদের সংখ্যালঘু ঘোষণার দাবি, কেন্দ্রকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

অ্যাডভোকেট উপাধ্যায়ের আবেদনে বলা হয়েছিল, রাজ্য গুলি হল, লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, জম্মু কাশ্মীর অরুণাচল প্রদেশ মনিপুর ও পঞ্জাব।
supremejpg_f
supremejpg_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের ১০টি রাজ্যে কি হিন্দুদের (Hindu) সংখ্যালঘুর তকমা (Minority Status) দেওয়া যায়? এই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার এক শুনানিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এর জন্য কেন্দ্রকে ৩০ অগাস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আগামী তিনমাসের মধ্য়ে রাজ্যগুলির মতামত নিয়ে তা নিয়ে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

প্রতিটি রাজ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের শ্রেণি ভাগ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়। ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনরিটি এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশনস (National Commission for Minorities) অ্যাক্ট ২০০৪-এর ধারা ২(এফ)-এর বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয়। ওই ধারা অনুযায়ী মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ এবং পার্সিরা সংখ্যালঘু তকমা পায় দেশে। কিন্তু মামলাকারীর দাবি, দেশের মোট ৯টি রাজ্যে হিন্দুরাও সংখ্যালঘু। 

২০১১ সালের জনগণনা (Census) অনুযায়ী, ভারতে ১০টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে হিন্দুরা সংখ্যালঘু সেখানে তাঁদের সংরক্ষণের আওতায় আনা হোক। এই রাজ্যগুলি হল  লক্ষদ্বীপ, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর ও পঞ্জাব। মামলাকারীদের প্রশ্ন ছিল সব রাজ্যে তো মুসলিমা বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু নন। তাহলে রাজ্যের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা সংখ্যালঘু তকমা দেওয়া হবে না কেন? নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারে শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকার। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রকে দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু তকমা দিতে হয়। তাই অনেক রাজ্যে হিন্দুরা (Hindu) সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও তারা সংখ্যালঘু তকমা বা সংখ্যালঘু হওয়ার সুবিধা পায় না। 

শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দিনে রাজ্যগুলিকে আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার কথা ভাবছে তারা। যার অর্থ, কোনও রাজ্য চাইলে হিন্দুদের আলাদা করে সংখ্যালঘু তকমা দিতে পারবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে তারা পরামর্শ করতে চায় কিনা? যদি সেটা চায়, তাহলে তা দ্রুত করা উচিত।

এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছিল। তাঁর ভিত্তিতে সর্বোচ্চ আদালতে নিজের অবস্থান রেকর্ড করতে বলেছিল সরকারকে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানিয়েছে, হিন্দুদের সংখ্যালঘু তকমা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও কিছুটা সময় দরকার। তার কারণ এই সিদ্ধান্তের ‘‌সুদূরপ্রসারী’‌ প্রভাব রয়েছে। 

মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, যে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করার ক্ষমতা যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে রয়েছে, তবে এবিষয়ে রাজ্য এবং সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরেই সংখ্যালঘু সনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তাঁর জন্য আরও সময় দরকার।

জবাবে, কেন্দ্রকে দ্রুত এই বিষয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও, কেন্দ্রের আবেদন মেনে রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য শীর্ষ আদালত আরও তিন মাস সময় দিয়েছে। ৩০ আগস্টের মধ্যে এ নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে মোদি (Modi) সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, “এই সব ইস্যুতে আলোচনা প্রয়োজন। সব কিছুর বিচার করা যায় না।”

 

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles