Indian in Artemis Mission: আর্টেমিস-১ মুন মিশনে ভারতীয় যোগ, প্রকল্পে যুক্ত হলেন বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে

বর্তমানে লকহিড মার্টিনে রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন অমিত...
87ca872c-3212-4761-b60b-ce8a42fc178e
87ca872c-3212-4761-b60b-ce8a42fc178e

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের জন্য আজ গর্বের দিন। নাসার আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ আর্টেমিস-১ মুন মিশনে সিনিয়র গবেষক পদে যুক্ত হচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী অমিত পাণ্ডে। এই মিশনটির নাম ‘নিউ মুন প্রোগাম আর্টেমিস ১’ (New Moon Program Artemis I)। এই মিশনে চাঁদে রকেট পাঠানো হবে। মিশনটি নাসার আর্টেমিস প্রোগামের (Artemis Programme) বহু-প্রতীক্ষিত একটি মিশন।

আরও পড়ুন: মহাকাশচারী ছাড়াই চাঁদে পাড়ি দেবে নাসার তৈরি স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেট

এই মিশনের জন্য চাঁদে পাড়ি দেবে নাসা-র (NASA) স্পেস লঞ্চ সিস্টেম (Space Launch System) বা সংক্ষেপে এসএলএস (SLS) রকেট। চলতি বছরের ২৯ অগাস্ট মহাকাশে পাড়ি দেবে এই রকেটটি। অমিত পাণ্ডে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯৬০ সালে আমেরিকা যেমন অ্যাপোলো প্রোগাম শুরু করেছিল এবং নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে পাড়ি দিয়েছিলেন, তেমনি নাসার এই আর্টেমিস মিশনটি শুরু করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে মহাকাশচারীরা চাঁদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য গবেষণা করতে পারবেন ও এর পাশাপাশি চাঁদে বসবাসও করতে পারবেন।

অমিত উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি উত্তরাখণ্ডে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করে আইআইটি বিএইচইউ (IIT BHU) থেকে বিটেক (Btech) করেছিলেন। এরপরেই তিনি আমেরিকায় যান ও অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয় (Arizona University) থেকে মাস্টার্স ও মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Maryland University) থেকে পিএইচডি করেন।

বর্তমানে তিনি বিশ্বখ্যাত মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা তথা নাসার বিভিন্ন মহাকাশাভিযানের অন্যতম অংশীদার লকহিড মার্টিনে (Lockheed Martin) রিসার্চ সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন। অমিত শুধুমাত্র একজন বিজ্ঞানীই নন, তিনি কেরিয়ারপিডিয়া (Carrerpedia) নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় কেরিয়ার নিয়ে পরামর্শ দেন। সেখানে তিনি বলেন কোনও কোর্স বা প্রফেশনে যাওয়ার আগে কী কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিমানের চেয়ে তিনগুণ বড় গ্রহাণু! আছড়ে পড়বে কি? কী বলছেন নাসা-র বিজ্ঞানীরা 

প্রসঙ্গত, সমগ্র চাঁদকে ঘুরে দেখার জন্য এবং কয়েক বছরের মধ্যে চাঁদে মানুষের অবতরণ করার পথকে আরও সহজতর করার জন্যই নাসার এই মিশন। আর এই মিশন সফল হলেই আর কয়েক বছরের মধ্যেই আবারও চাঁদে পাড়ি দিতে পারবে মহাকাশচারী। অ্যাপোলো মিশন বন্ধ হওয়ার পর প্রায় পাঁচ দশকের দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে আর্টেমিস মিশনটি নতুন করে ফের চাঁদের মাটিতে মহাকাশচারীর পা রাখার আশা দেখাচ্ছে। ৩২২ ফুট লম্বা রকেটটি কোনও মানুষ ছাড়াই মহাকাশে তার প্রথম মিশনে যাত্রা করবে। নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের জন্য একে চাঁদে পাঠানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে বলাই বাহুল্য এটি নাসা পরিচালিত আর্টেমিস মিশনের প্রথম ধাপ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles