মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার ভোরে প্রয়াত হলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর জোশী (Manohar Joshi)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬। গত ২১ ফেব্রুয়ারি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। সেখানেই ভোর ৩:০২ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরেই মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে জোশীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ২০২৩ সাল থেকেই গভীর অসুস্থ ছিলেন জোশী। ২০২০ সালে প্রয়াত হন তাঁর স্ত্রী। মৃত্যুকালে জোশী রেখে গেলেন দুই কন্যা ও এক পুত্রকে। জোশীর (Manohar Joshi) মৃত্যুতে গভার শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সংসদীয় কাজে জোশীর অবদান নিয়ে ভূয়সী প্রশংসাও করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩৭ সালের ২ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় জন্ম হয় মনোহর জোশীর
১৯৩৭ সালের ২ ডিসেম্বর মহারাষ্ট্রের রায়গড় জেলায় জন্ম হয় মনোহর জোশীর। পরবর্তীকালে পড়াশোনার জন্য পরে তিনি চলে যান মুম্বইয়ে। পড়াশোনা শেষ হলে পেশা হিসাবে বেছে নেন শিক্ষকতা। ১৯৬৭ সালেই সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের এই স্বয়ংসেবক। ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মুম্বই পুরসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে মুম্বইয়ের মেয়রও হন তিনি। ১৯৭২ সালে মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদে নির্বাচিত হন জোশী (Manohar Joshi)।
বালা সাহেবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি
৮০-র দশকে তিনি মহারাষ্ট্রে বালাসাহেব ঠাকরের দল শিবসেনায় যোগ দেন। অচিরেই শিবসেনার শীর্ষ নেতা হিসেবে উঠে আসেন তিনি। বালা সাহেবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠও ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে ওই দল থেকেই প্রথমবারের জন্য বিধানসভা ভোটে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন জোশী (Manohar Joshi)। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জোশী মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। এর পরে মুম্বই উত্তর-মধ্য কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসাবেও নির্বাচিত হন তিনি। অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বে ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার স্পিকারও ছিলেন তিনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours