মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) হিংসা অব্যাহত। প্রায় দুই মাস পার করে গেলেও কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। মণিপুরের এমন পরিস্থিতিতেই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। স্থানীয় সংবাদপত্রগুলির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী লিখে ফেলেছিলেন ইস্তফাপত্র, জমাও দিতে যাচ্ছিলেন রাজ্যপালের কাছে। শেষ মুহূর্তে সাধারণ মানুষের অনুরোধে সিদ্ধান্ত বদল করেন মুখ্য়মন্ত্রী। শনিবার সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি কোনওভাবে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না।”
৩ মে থেকেই চলছে মণিপুর (Manipur) হিংসা
মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ শুরু হয় বিগত ৩ মে থেকে। জনজাতি ছাত্র সংগঠনের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে সেদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। সরকারি হিসাবে এখনও অবধি ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ জন। কমপক্ষে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে ১০১ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
কী বলছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী?
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং বলেন, “মণিপুর (Manipur) যাতে বিভক্ত না হয় এবং ভিন্ন প্রশাসন তৈরি না হয়, তার জন্য আমি চেষ্টা করব। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি এবং বিজেপির তরফ থেকেও বলছি যে ভিন্ন প্রশাসন তৈরি করে মণিপুরকে বিভক্ত হতে দেব না। রাজ্যের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সব ধরনের ত্যাগ করতে রাজি।” সংঘর্ষের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, “আমি নিজেও বিভ্রান্ত যে কেন এই সংঘর্ষ হচ্ছে। মণিপুর হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে মেতেইদের তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তাবনা জমা দিতে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই আমি পাহাড়ি এলাকার বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলি। তাঁরা বলেছিলেন যে প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তার জন্য যেন কিছু সময় দেওয়া হয়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours