Manik Bhattacharya: মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে ইডি! ভাঙা হল তালা, জানেন কী মিলল?

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির তৎপরতা বাড়তেই ২ মাস আগে আচমকাই বন্ধ হয়ে যায় এই সেন্টার।
df65deb9ba70605fcd36ba5515bc863d1665807547772223_original
df65deb9ba70605fcd36ba5515bc863d1665807547772223_original

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মহিষবাথানে মানিক (Manik Bhattacharya) ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে (Teachers Training Center) তল্লাশি চালাল ইডি। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার ওই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তালা ভেঙে ঢোকেন ইডির অফিসারেরা। ইডি (ED) সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের যোগ রয়েছে। সেই কারণেই অভিযান। 

এদিন সকালে এক মহিলা অফিসার-সহ ইডির ছ-জন আধিকারিক মহিষবাথানের মিনার্ভা এডুকেশেন অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে তদন্তে আসে। ওই ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। ইডি যখন এদিন এখানে আসে তখন সেন্টারটি তালা বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে ওই সেন্টারের একটি মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোন করা হয়। কিন্তু কেউ ফোন তোলেননি। তখন স্থানীয় এক চাবিওয়ালাকে ডেকে এনে তালা ভাঙেন তদন্তকারীরা। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এরপর তল্লাশি চালায় ইডি।

আরও পড়ুন: শুধু চাকরি নয়, অর্থের বিনিময়ে বিএড ডিগ্রিও বিক্রি করেছেন মানিক! অভিযোগ ইডির

ইডি আধিকারিকরা জানতে পারেন যে সময়ে রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল ছিল, সেই সময় অর্থাৎ ২ মাস আগে আচমকাই এই সেন্টারের সামনের সাইনবোর্ড খুলে ফেলা হয়। কেন হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেওয়া হল? তা নিয়ে বাড়ছে দ্বন্দ্ব। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি তৎপরতা বাড়তেই এই ট্রেনিং সেন্টার বন্ধ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। আলিমারি থেকে যেমন নথি বের করে দেখা হচ্ছে, তেমনই সব ছবি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রচুর নথি মিলেছে। তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এদিকে, এই ভাড়া নেওয়া সেন্টারের বাড়িওয়ালার দাবি প্রায় পাঁচ মাস ভাড়া বাকি রয়েছে। বাড়ির মালিকের কাছ থেকে এই সেন্টারের বিষয়ে সবরকম তথ্য সংগ্রহেরও চেষ্টা করে চলেছেন ইডির আধিকারিকরা। সেন্টারের মধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার দিকেও নজর রেখেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: মামলার পথে ১৪০০ চাকরি প্রার্থী! প্রাথমিক নিয়োগে অতীতে এত আবেদন জমা পড়েনি

প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর এই ঘনিষ্ঠের খোঁজ পায় ইডি। তিনি যে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার চালাতেন মহিষবাথানে, তা জানতে পেরেই হানা দেওয়া হয় এখানে। যে সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ হয়েছে, তাঁদের এখানেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? এখান থেকেই কি নকল ওএমআর সিট তৈরি হয়েছে? এইসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে ইডি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles