Manik Bhattacharya: টানা ছ’ ঘণ্টা জেরা, মানিকের বিরুদ্ধে ১০০ পাতার নয়া এফআইআর সিবিআইয়ের  

মানিকের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের সিবিআইয়ের...
manik
manik

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ঘণ্টা ছয়েক ধরে জেরা করে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বেরলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। মঙ্গলবার রাতেই মানিকের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ পাতার এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নকল নথি বানানো, নথি জাল করা, জালিয়াতি সহ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মানিক ছাড়াও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামেও দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। তবে জেরায় তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে মানিক সহযোগিতা করছেন না বলেই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর।

মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআয়ের তরফে জানানো হয়, মানিকের (Manik Bhattacharya) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। এদিন মানিককে দীর্ঘক্ষণ জেরাও করা হয়েছে। মামলাটি নিয়ে অনেক কিছু বলেছেন তিনি। সব কিছু ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই ভিডিও ফুটেজ আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সিবিআইকে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই

এদিন সকালে ফের একবার মানিককে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছান তদন্তকারীরা। প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে মানিককে জেরা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই মতো মঙ্গলবার রাতেই ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। ওই রাতেই দায়ের হয় এফআইআর। এদিকে, এদিন সিবিআইয়ের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সরকারি আধিকারিকরা অত্যন্ত দক্ষ। ভাল কাজের জন্য ধন্যবাদ।”

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে কাউন্সেলিং পর্বে ডিজাইনড কোরাপশন (Manik Bhattacharya) হয়েছে বলে মঙ্গলবারই বলেছিল আদালত। তার পরেই আদালত চেয়েছিল, সিবিআই নতুন করে এফআইআর রুজু করে তদন্ত করুক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, এদিনই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক সিবিআই। তিনি বলেছিলেন, “২০২০ প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এটা নতুন ধরনের দুর্নীতি। আজই মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিবিআইয়ের দক্ষ দুই অফিসার।” সন্ধে ৬টার মধ্যে মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে আজই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।

আরও পড়ুুন: ভোট ‘সন্ত্রাসের শিকার’! আক্রান্ত মহিলাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেল বিজেপির পরিষদীয় দল

২০২০ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে হয়েছিল কাউন্সেলিং। পরের বছর জুলাই মাসে কাউন্সেলিংয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। সেখানে চতুরতার সঙ্গে ড্রাফট লেখা হয়েছিল। হোম ডিস্ট্রিক্ট ফাঁকা না দেখিয়ে, প্রেফার্ড ডিস্ট্রিক্টকে পছন্দ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কাউন্সেলিং পর্বে প্রার্থীদের বলা হয় 'লাস্ট চান্স'। যদিও সেবারই তাঁরা প্রথম সুযোগ পাচ্ছিলেন। এখানেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles